ঝুঁকি: সেক্টর ফাইভের ট্র্যাফিক-চিত্র। মঙ্গলবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
দুর্ঘটনা আটকাতে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের মূল কয়েকটি রাস্তায় একমুখী এবং বাকিগুলিতে উভয়মুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা কয়েক মাস আগেই চালু হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন থেকে সিসি ক্যামেরার নজরদারি, স্পিড ব্রেকারের ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালে পথ দুর্ঘটনায় মামণি দাস নামে এক মহিলার মৃত্যু দেখিয়ে দিল যে ব্যবস্থা আদতে নিশ্ছিদ্র করা যায়নি। এর পরেও যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো নামানো, রাস্তা পারাপার হওয়ার ছবিই দেখা গিয়েছে।
যদিও ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ স্পষ্ট— প্রথমত, ফুটপাথ দখল করে দোকান থাকায় পথচারীদের ভরসা রাস্তাই। দ্বিতীয়ত, নতুন ট্র্যাফিক ব্যবস্থা এবং রাস্তা পারাপারে সচেতনতার অভাব। তৃতীয়ত, চালকদের একাংশের নিয়ম না মানার প্রবণতা।
পাঁচ নম্বর সেক্টরের রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশ বেশি। এই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকের জন্মলগ্ন থেকেই ফুটপাথ দখল করে অস্থায়ী খাবারের দোকান গজিয়ে উঠছে। যার সংখ্যা গত দশকে আরও বেড়েছে। তাই পথচারীদের ভরসা সেই রাস্তাই। রাস্তাও আবার বেশি চওড়া নয়। নির্দিষ্ট বাসস্টপ থাকলেও যত্রতত্র বাস থেকে যাত্রী তোলা ও নামানো চলে। ফলে নির্দিষ্ট মোড়ের পরিবর্তে যেখান সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপারও বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এমন বিপজ্জনক অবস্থা রুখতে কয়েক মাস আগে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ এবং নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ নয়া ট্র্যাফিক বিধি চালু করেন। সেই অনুযায়ী এসডিএফ মোড় থেকে ওয়েবেল টেকনোপলিস কিংবা রিং রোডের মতো রাস্তায় ওয়ানওয়ে বিধি চালু হয়। বাকি রাস্তায় উভয়মুখেই যান চলাচল করছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। অভিযোগ, বাস চালকদের একাংশ যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় ওভারটেকিং চালিয়ে যাচ্ছেন। নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ, পুলিশ গাড়ি বা মোটরবাইকের ক্ষেত্রে যে ভাবে কড়া পদক্ষেপ করছে বাসচালকদের ক্ষেত্রে তা করছে না। যদিও পুলিশের দাবি, বাস থামিয়ে চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গেলে বাসের যাত্রীদের একাংশ প্রতিবাদ করেন। আবার বাসচালকদের লাইসেন্স সাময়িক ভাবে রদ করলে পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের দাবি, মূল সমস্যা ফুটপাথ ঘিরেই। নবদিগন্তের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের রাস্তাঘাট, ফুটপাথ নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। খড়্গপুর আইআইটি এই কাজে সহযোগিতা করছে। সেই পরিকল্পনা অনুসারে ফু়ডকোর্ট তৈরি করা হবে। সেখানে ফুটপাথের দোকানদারদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy