Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
বেলুড় মঠ

তেমাথার মোড় জটমুক্ত করতে বসল সিগন্যাল

তিন রাস্তার মোড়ে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকত। নিয়ম মানতেন না পথচারীরাও। মর্জি মতো রাস্তা পারাপারই এখানে ছিল দস্তুর। ফলে মাঝেমধ্যে ঘটত ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। রয়েছেন স্বামী সুহিতানন্দ ও দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। রয়েছেন স্বামী সুহিতানন্দ ও দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৬ ০৮:৩১
Share: Save:

তিন রাস্তার মোড়ে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকত। নিয়ম মানতেন না পথচারীরাও। মর্জি মতো রাস্তা পারাপারই এখানে ছিল দস্তুর। ফলে মাঝেমধ্যে ঘটত ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। চিত্রটা বেলুড় মঠের মূল গেটের সামনে জি টি রোডের।

এ বার সেই মোড়ে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে সিগন্যাল পোস্ট বসাল হাওড়া পুর নিগম। রবিবার সেই সিগন্যালের সূচনা করে তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জি টি রোডে বেলুড় মঠের তিন রাস্তার মোড়ে ওই ট্রাফিক সিগন্যালের উদ্বোধন করেন হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী ও পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ, হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) বিভাস হাজরা, স্থানীয় কাউন্সিলর চৈতালী বিশ্বাস প্রমুখ।

হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার মানুষ বেলুড় মঠে আসেন। এর সঙ্গে স্থানীয়েরাও জি টি রোডে ওই মোড় থেকে বাসে ওঠেন। তার উপরে জি টি রোড সদা ব্যস্ত। কিন্তু ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকার জন্য যানবাহন ও পথচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতেন পুলিশকর্মীরা। সিগন্যাল না থাকায় বালি ও বেলুড় বাজারের দিক থেকে যাতায়াত করা গাড়ি এবং বেলুড় মঠে ঢোকা ও বেরোনোর গাড়ির ভিড়েও জট লেগে যেত। তার মধ্যে দিয়েই ইচ্ছেমতো রাস্তা পার হতেন পথচারীরা।

সব দিক খতিয়ে দেখেই পুরসভার তরফে ওই সিগন্যাল পোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে কাজটি করা হয়। এই সিগন্যাল চালু হওয়ায় সেই জট কেটে যাবে বলে দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ।

বেলুড় মঠের মূল গেটের সামনে থেকে শ্রমজীবী হাসপাতাল পর্যন্ত একটি বাগান তৈরি করেছে হাওড়া পুরসভা। মেয়র পারিষদ বিভাসবাবু জানান, এ দিন সেই উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণের ভারও রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে মেয়র রথীনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে আমাকে বালির দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাই বেলুড় মঠকে কেন্দ্র করে বালিকে সাজিয়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তার অঙ্গ হিসেবেই এ সব কাজ শুরু করা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Signal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE