Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

টোটোয় রাশ টানতে লাইসেন্স

টোটোয় লাগাম টানতে লাইসেন্স চালু করার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনায় সেই কাজ শুরু হচ্ছে। কারণ, টোটোতে ছেয়ে গিয়েছে বারাসত, হাবরা, অশোকনগর থেকে মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর, বিরাটির রাস্তা। এত দিন টোটো চালাতে পরিবহণ দফতরের অনুমতি বা পুরসভার লাইসেেন্সর প্রয়োজন ছিল না।

টোটো-র জটে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

টোটো-র জটে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০০:১৭
Share: Save:

টোটোয় লাগাম টানতে লাইসেন্স চালু করার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনায় সেই কাজ শুরু হচ্ছে। কারণ, টোটোতে ছেয়ে গিয়েছে বারাসত, হাবরা, অশোকনগর থেকে মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর, বিরাটির রাস্তা। এত দিন টোটো চালাতে পরিবহণ দফতরের অনুমতি বা পুরসভার লাইসেেন্সর প্রয়োজন ছিল না।

উত্তর ২৪ পরগনার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘লাইসেন্স দেওয়ার সরকারি নির্দেশ এসে গিয়েছে। নিয়ম মেনে লাইসেন্স-এর আবেদন করতে হবে। কিছু আবেদন ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে।’’

বারাসতের টোটোচালক নারায়ণ দাস বলেন, ‘‘অনেক উচ্চশিক্ষিত বেকারও টোটো কিনে নেমে পড়ছেন। সৎ ভাবেই তো উপার্জন হচ্ছে।’’ তাই বেড়েছে টোটোর চাহিদা। ব্যবসায়ীরাই জানান, আগে আসত চিন হয়ে দিল্লি থেকে। এখন শহরতলিতেই টোটো তৈরি হচ্ছে। বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের একটি টোটো কারখানার মালিক প্রবীর দেব বলেন, ‘‘আগে দাম বেশি পড়ত। এখন নিজেরাই তৈরি করায় কম দামে আরও ভাল টোটো দিতে পারছি।’’ এমনকী টোটো কিনলে ‘ফ্রি-সার্ভিসিং’ এর ‘অফার’ও দিচ্ছেন অনেক কারখানার মালিক।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক বছরের মধ্যে টোটোর সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু ভিতরের রাস্তাই নয়, টোটো চলছে ৩৪ বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়ও। এতে যানজট বাড়ছে। পরিবহণ দফতর, পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এ ভাবে চললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। পরিবহণ দফতর সূত্রে আশ্বাস, লাইসেন্স হয়ে গেলে কিছু দিনের মধ্যেই টোটো-সমস্যা মিটবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE