বেআইনি বা ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগানো অটোর সমস্যা শহরে নতুন নয়। সিঁথি-দমদম স্টেশন রুটে এমনই অসংখ্য অটো চলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল সেখানকার তৃণমূল সমর্থিত অটোরিকশা ইউনিয়ন। আদালতে ইউনিয়নের অভিযোগ, কখনও অন্য অটোর নম্বর প্লেট লাগিয়ে, কখনও অন্য রুটের পারমিট নিয়ে ওই সব অটো চলছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর)-কে বেআইনি অটোর উপর নজরদারি বাড়াতে ও সেগুলি বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দেন। ডিসি-কে ২১ মার্চের মধ্যে একটি রিপোর্টও আদালতে পেশ করতে বলেছেন তিনি।
একাধিক অটো ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা জানান, তুলনায় কম হলেও তাঁদের রুটেও এই ধরনের সমস্যা রয়েছে। তাঁদের দাবি, ব্যারাকপুর, বারাসত, সোনারপুর থেকে যে সব অটো শহরে ঢোকে, তাদের সবগুলির বৈধতা থাকে না। সিঁথি রুটের সমস্যা যে শহরের অন্য রুটেও যে রয়েছে তা মানছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক দফতরও। এক ট্রাফিক কর্তার অবশ্য দাবি, নির্দিষ্ট খবর থাকলে তাঁরা অন্য রুটের পারমিট নিয়ে চলাচলকারী অটোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেন।
এ দিন বিচারপতি দত্তের আদালতে সিঁথি-দমদম স্টেশন রুটের অটো ইউনিয়নের আইনজীবী শিবাজীকুমার দাস জানান, ওই রুটে বেআইনি অটোগুলির নির্দিষ্ট কোনও চালক নেই। একাধিক চালক মাসের বিভিন্ন সময়ে একই অটো চালান। ওই রুটে যে সব অটোর পারমিট রয়েছে, তারা বেআইনি অটোর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ। ইউনিয়নের তরফে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।
এর আগের শুনানিতে হাইকোর্ট ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল, বেআইনি অটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। দফতর কী ব্যবস্থা নিয়েছে, বিচারপতি জানতে চাইলে সরকারি কৌঁসুলি তাপসকুমার অধিকারী জানান, ব্যারাকপুর কমিশনারেট জানিয়েছে, সিঁথি এলাকা কলকাতা পুলিশের। তবে একটি রিপোর্টে সিঁথি থানা জানায়, অভিযোগকারী নির্দিষ্ট কোনও নম্বরের অটোর কথা বলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy