—প্রতীকী ছবি
সিগন্যাল খোলা থাকা অবস্থায় রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে একটি অ্যাপ-ক্যাবের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন তরুণ-তরুণী সহ তিন জন। অভিযোগ, এর পরেই উত্তেজিত তরুণ-তরুণী ওই ক্যাবচালককে নামিয়ে এনে মারধর করেন। এমনকি পরিস্থিতি সামলাতে ট্র্যাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে সাউথ সিটি মলের সামনে।
পুলিশ এবং ক্যাবচালক উভয়েই অভিযুক্ত তরুণ ও তরুণীর বিরুদ্ধে ওই রাতে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ সাউথ সিটি মলের সামনে তখন সিগন্যালের আলো সবুজ ছিল। নিয়ম মতো, সিগন্যাল লাল থাকলে শুধুমাত্র জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার করতে হয়। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে ওই তরুণ- তরুণী সহ আরও এক মহিলা রাস্তা পারাপারের সময়ে একটি ক্যাবের সামনে এসে পড়েন। চালক মুকেশ কুমারের কথায়, ‘‘গা়ড়িটি ঘোরানোর সময়ে তিন জন সামনে এসে পড়ায় জোরে ব্রেক কষি। এর পরেই ওই তরুণ-তরুণী আমাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন। ছেলেটি গাড়ির দরজা খুলে আমাকে মারধর করেন।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই সময়ে কাছেই ডিউটি করছিলেন যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট ও দুই কনস্টেবল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্যাবচালককে মারধর করতে দেখে তাঁরা ছুটে এসে প্রতিবাদ করেন। ঘটনার সময়ে পাশেরই চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী পিন্টু চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘ক্যাবচালককে মারধর করতে দেখে পুলিশ গেলে উল্টে তাদেরকে কটূ মন্তব্য করতে থাকেন তরুণ-তরুণী। ওঁরা পুলিশকে যে ভাবে হেনস্থা করছিলেন আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওঁরা নিয়ম ভেঙে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। বরং চালক জোরে ব্রেক কষে ওঁদের বাঁচিয়েছেন। অথচ তরুণ-তরুণী যে ভাবে চালককে হেনস্থা করলেন তা অত্যন্ত অন্যায়। ওদের শাস্তি হওয়া দরকার।’’
এই ঘটনার পরে নিজের ফেসবুক পেজে ওই মহিলা কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট সম্পর্কে কটূ মন্তব্য করেন। ফেসবুক পেজে ওই তরুণীকে বার্তা পাঠালেও কোনও উত্তর মেলেনি। ঘটনা সম্পর্কে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ক্যাবচালক এবং পুলিশের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy