দুষ্কৃতীকে ধরার পরে। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র।
অফিসের দরজা খোলা রেখেই ভিতরে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক এবং তাঁর ভাই। আচমকা গয়নার কারিগর পরিচয় দিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল চার যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগ্নেয়াস্ত্র বার করে হাত বেঁধে দিল সকলের। অফিসের সিসিটিভি এবং ফোনের লাইন কেটে দিয়ে টাকা-গয়না লুঠ করে পালাল তারা।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পোস্তা থানার বাঁশতলা রোডে। এত কাণ্ড করেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। পালানোর পথেই অফিসের কর্মচারী এবং এলাকার বাসিন্দাদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় উজ্জ্বল ঘোষ নামে এক দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং লুঠ হওয়া কিছু জিনিস।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে অফিস খোলেন হনুমানপ্রসাদ বুচ্চা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই ও দুই কর্মচারী। তাঁরা অফিসেই থাকেন। হনুমানপ্রসাদ বলেন, ‘‘তিন যুবক সোনার গয়নার কারিগর পরিচয়ে অফিসে ঢোকে। পরে আসে আর এক জন। বাংলা টানে হিন্দিতে কথা বলছিল তারা। আচমকা দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র বার করে আমাদের হাত বেঁধে দেয়। লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে মুখও আটকে দেয়।’’ তদন্তকারীরা জানান, ভয়ে অফিসের দুই কর্মী প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। দুষ্কৃতীরা নগদ প্রায় ৩০ হাজার টাকা ও গয়না লুঠ করে পালায়।
পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা পালাতেই নিজেদের বাঁধন খুলে চিৎকার জোড়েন দুই কর্মচারী। এলাকার বাসিন্দা নরেশ চৌধুরী ও রাজ গুপ্ত জানান, দুষ্কৃতীদের তাড়া করে রবীন্দ্র সরণিতে উজ্জ্বলকে ধরেন স্থানীয়েরা। মেলে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির মালভর্তি ব্যাগ। পুলিশ জানায়, স্থানীয়েরা মারধর শুরু করলে পোস্তা থানার পুলিশ উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে। এক পুলিশকর্তা জানান, অফিসের কর্মী শশী পণ্ডিতের তৎপরতায় ধরা পড়ে ওই দুষ্কৃতী।
পুলিশ জানায়, ঘটনার আগে দীর্ঘক্ষণ ওই দুষ্কৃতী দলটি অফিসের উল্টো দিকেই বসে ছিল। তারা জানত, অফিসে টাকা-গয়না রয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, পরিচিত কেউই এতে জড়িত। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy