সকালে অফিসের মূল দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে এক কর্মী দেখেন ঘর লণ্ডভণ্ড, লকার ভাঙা। জানলার পাল্লা খোলা, গ্রিল ভাঙা এবং উধাও কয়েক হাজার টাকা। ঠিক একই কায়দায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে ঠিক যে ভাবে চুরি হয়েছিল সিঁথির প্রবীণ সেতার শিল্পী মণিলাল নাগের বাড়িতে। এ দিনের চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লেক থানার গড়িয়াহাট রোড (দক্ষিণ)-এর একটি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার অফিসে। যাদবপুর থানার কাছে ওই রকম জনবহুল এলাকায় চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাত তিনটে নাগাদ অফিসের একটি জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকে তিন জনের দুষ্কৃতী দল। নগদ টাকা-সহ দুটি ল্যাপটপ চুরি করে চম্পট দেয় তারা। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতীর খোঁজ পায়নি পুলিশ। সপ্তাহ দুয়েক আগে শিল্পীর বাড়িতেও জানলার পাল্লা খুলে, গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। ৩টি মোবাইল, ল্যাপটপ, নোটবুক, গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতী দল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দুটি চুরির ঘটনার পিছনে রয়েছে একই দল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই অফিসে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি রয়েছে। তারা প্রথমে সিসিটিভি নষ্ট করার চেষ্টাও করে। কিন্তু সব গুলো ক্যামেরা নষ্ট করতে পারেনি। সেই ফুটেজ দেখেই পুলিশ জানতে পেরেছে, জানলার গ্রিল কেটে রাত তিনটে নাগাদ তিন দুষ্কৃতী ওই অফিসের ভিতর ঢোকে। কালো কাপড় দিয়ে বাধা ছিল তাদের মুখ। প্রথমে তারা অফিসের বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে লণ্ডভন্ড করে। পরে অফিসের ভিতরে থাকা একটি লকার ভাঙে। সেখান থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা ও ল্যাপটপ নিয়ে সাড়ে তিনটে নাগাদ অফিস ছেড়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা।
লালবাজারের গোয়েন্দাদের দাবি, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীদের স্কেচ আঁকানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন ওই লুঠের ঘটনার পিছনে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একটি দুষ্কৃতী দল। ওই দুষ্কৃতী দলের পাণ্ডা একজন কুখ্যাত ডাকাত সর্দার। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ওই দিন যে কায়দায় দুষ্কৃতীরা লুঠ চালিয়েছে ওই বাড়িতে, তার সঙ্গে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশ কয়েকটি ডাকাতির মিল রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy