শনিবার কলকাতার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে যেতে পারে দিল্লি থেকে আসা ১১ জন বিশেষজ্ঞের দলটি। ফাইল ছবি।
জেলায় ঘুরে আসার পরে কাল, শনিবার কলকাতার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে যেতে পারে দিল্লি থেকে আসা ১১ জন বিশেষজ্ঞের দলটি।
তবে কলকাতা জেলা শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোন কোন স্কুলে ওই দল যাবে, তা এখনও স্থির হয়নি। পরিদর্শনের দিন সকালে সেটা ঠিক হবে। যদিও কলকাতায় বেশির ভাগ স্কুলেই রান্না হয় না। রান্না হয় ক্লাস্টার কিচেনে। তাই কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের স্কুলের পাশাপাশি কয়েকটি ক্লাস্টার কিচেনও পরিদর্শন করার কথা।
কলকাতা জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, শহরের স্কুলগুলিতে জায়গা কম, তাই বেশির ভাগ স্কুলে রান্নাঘর নেই। কলকাতায় ১৫৩৮টির মতো প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। যার মধ্যে ৬৯টি প্রাথমিক স্কুলে রান্না হয়। এ ছাড়া ১১৩টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলেও রান্না হয়। বাকি সব স্কুলের রান্না হয় ক্লাস্টার কিচেনে। শহরে মোট ক্লাস্টার কিচেনের সংখ্যা ১১৩। এক-একটি ক্লাস্টার কিচেনের অধীনে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি স্কুল রয়েছে। যেখান থেকে রান্না করা খাবার স্কুলে সরবরাহ করা হয়।
দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, একটি ক্লাস্টার কিচেনে যে হেতু অনেক স্কুলের রান্না একসঙ্গে হয়, তাই সেখানে নিয়ম মেনে সব কিছু হচ্ছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অনেক ক্লাস্টার কিচেনের ভিতরে আলুর বস্তা, চালের বস্তা রেখে দেওয়া হয়। সেগুলি যাতে রান্নাঘরে না থাকে, সেটা দেখতে হবে।কারণ, বস্তা থাকলে ইঁদুর, পোকামাকড়ের উপদ্রব হতে পারে। রাঁধুনিরা যাতে টুপি, দস্তানা, অ্যাপ্রন ও মাস্ক পরে রান্না করেন, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।’’
সাধারণত কোনও ক্লাস্টার কিচেন যে সব স্কুলের মিড-ডে মিলের দায়িত্ব নেয়, সেগুলি সংশ্লিষ্ট স্কুলের দেড় থেকে দুই কিলোমিটার পরিধির মধ্যে থাকে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রতিটি ক্লাস্টার কিচেনের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে, সেখান থেকে স্কুলপর্যন্ত যাতে খাবার ঢাকা দিয়ে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটা দেখতে হবে। এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘সব সময়ে তেমনটাই করা হয়। কিন্তু সব খাবারের ঢাকনা আছে কি নাকিংবা গাড়ির ঝাঁকুনিতে ঢাকনা খুলে পড়ে যাচ্ছে কি না, তা-ও নজরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে খাবার গরম গরম পরিবেশন করা হচ্ছে কি না, দেখতে হবে সেই বিষয়টিও।’’
সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্কুলের মিড-ডে মিলে ডালের বালতিতে মরা সাপ বা টিকটিকি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতার স্কুলেগুলির ক্ষেত্রে সে রকম অভিযোগ সাম্প্রতিক কালে শোনা যায়নি। তবুও সতর্ক কলকাতার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। এক কর্তার কথায়, ‘‘কারা মিড-ডে মিল খাচ্ছে না, কেন খাচ্ছে না,কোথায় তাদের খেতে অসুবিধা, সেই বিষয়গুলিও আমাদের খেয়াল রাখতে হচ্ছে। সবাই যাতে মিড-ডে মিল খায়, এই প্রকল্পের সেটাও লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy