অমিত আগরওয়াল। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী শিল্পী আগরওয়ালকে খুন করে কলকাতার ফুলবাগানে এসে শাশুড়িকে গুলি করেছিল অমিত আগরওয়াল। পরে সে আত্মঘাতী হয়। শিল্পী ও অমিতের দশ বছরের ছেলেকে আপাতত তার জেঠুর কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতি। শুক্রবার সকালেই তাকে জেঠুর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। গত ২২ জুন রাতে ওই বালককে একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সমিতি সূত্রের খবর, ছেলেটিকে তাঁরা রাখতে চান কি না, তা শিল্পীর বাবা ও দাদার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পুলিশকে বছর সত্তরের সুভাষ ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পরে তিনি একাই থাকছেন। ব্যবসার কাজ সামলে নাতির দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। শিল্পীর দাদাও জানান, কিছু দিনের মধ্যেই বিদেশে চলে যাচ্ছেন তিনি, ফলে ভাগ্নেকে রাখতে পারবেন না।
এর পরেই শিশু কল্যাণ সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, বাবার পরিজনেদের হাতেই তুলে দেওয়া হবে বালককে। তবে সমিতি নিয়মিত নজর রাখবে। তাদের অনুমতি ছাড়া শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না বালকটিকে। মায়ের পরিজনেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দিতে হবে। তার বেড়ে ওঠার জন্য সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সহায়তা নিতে হবে মনোবিদেরও।
ওই বালকের সঙ্গেও কথা বলেন সমিতির চেয়ারপার্সন। হোমে অসুবিধা হচ্ছে না জানালেও সে বার বার মায়ের খোঁজ করে। আরও জানায়, কোনও জায়গাতেই থাকতে তার আপত্তি নেই, যদি মা সঙ্গে থাকেন। সমিতি সূত্রের খবর, বালকটিকে ঘটনার কথা কিছুই জানানো হয়নি। আপাতত বলা হয়েছে, তার মা কাজে বাইরে গিয়েছেন।
২২ জুন ফুলবাগানে শিল্পীর বাবা-মায়ের ফ্ল্যাটে ঢুকে শাশুড়িকে গুলি করার পরে আত্মঘাতী হয় অমিত। তার কাছে মেলা সুইসাইড নোটে জানা যায়, সে স্ত্রীকে বেঙ্গালুরুতে খুন করে ছেলেকে নিয়ে চলে এসেছে। বিমানবন্দর থেকে অমিতের এক বন্ধু ওই বালককে নিয়ে বেলঘরিয়ায় ঠাকুরমা-দাদুর কাছে রেখে এসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy