শিয়ালদহ ডিভিশনে সাধারণ লোকাল, গ্যালপিং লোকাল— সব ট্রেনই যাত্রাপথে ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে দাঁড়িয়ে পড়ছে। ফলে যাত্রীদের গন্তব্য পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। মেন লাইন, বনগাঁ ও ডানকুনি— এই তিন শাখার যাত্রীরাই এ নিয়ে তিতিবিরক্ত।
ট্রেনের এই সমস্যা মূলত দু’টি জায়গায় হয়। প্রথমটি, শিয়ালদহে ঢোকার মুখে কারশেডে। অন্যটি, দমদমে রুট রিলে ইন্টারলক (আরআরআই) কেবিনের কাছে। অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে কোনও পরিকল্পনা করা হচ্ছে না। পরিকাঠামো না বাড়িয়ে ট্রেন বাড়িয়ে দেওয়ায় সমস্যা আরও গভীর হয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা না-বাড়ায় ট্রেন ঢোকা ও বার হওয়াই প্রধান সমস্যা। তার উপরে প্ল্যাটফর্মগুলির দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় সব প্ল্যাটফর্মে ১২ কামরার ট্রেন ঢুকতে পারে না। রেলকর্তারা জানান, শিয়ালদহে প্রধান সমস্যা জায়গার। রেল সূত্রে খবর, অনেক সময়ে ট্রেন ছাড়তে দেরি হলে ট্রেন ঢুকতে পারে না। যাত্রীদের দুর্ভোগ হয়। দুপুরের একটি লালগোলা (মেমু) যে সময়ে শিয়ালদহে পৌঁছনোর কথা, সে সময়ে শিয়ালদহের সব প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন থাকে। ফলে দমদমের আগে ট্রেনটি দীর্ঘক্ষণ দাঁড় থাকে।
দুর্ভোগ পোহাতে হয় ডানকুনি লোকালের যাত্রীদেরও। তাঁরা জানান, একেই ঘণ্টায় একটি করে ট্রেন। তার উপর রোজ দমদমের আগে ৩০ মিনিট করে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে হামেশাই যাত্রীদের দেরি হয়ে যায়। কিন্তু এ নিয়ে রেল-কর্তাদের মাথা ব্যথা নেই বলে অভিযোগ।
কেন এমন সমস্যা হচ্ছে? দমদমে মেন ও ডানকুনি লাইনকে আড়াআড়ি ভাবে কেটে বেরিয়েছে বনগাঁ লাইন। ফলে মেন লাইনের ট্রেন গেলে বনগাঁকে আটকে রাখতে হচ্ছে। আবার বনগাঁর ট্রেন থাকলে আটকে দেওয়া হচ্ছে মেন লাইনের ট্রেনকে।
এই সমস্যা সমাধানে ঠিক হয়েছিল, উড়ালপুল করে তার উপরে একটি লাইনকে পাতা হবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে। রেলকর্তারা জানিয়েছেন, এই উড়ালপুল যে জমিতে হবে সেখানে দখলদার রয়েছে। কী ভাবে তাঁদের সরানো যায়, সেই পরিকল্পনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy