উত্তর দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
বকেয়া সম্পত্তিকর আদায়ে আগামী বছরের শুরু থেকে পথে নামতে চলেছে উত্তর দমদম পুরসভা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে শিবির করে এই কাজ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সম্পত্তিকর আদায়ের কাজ হলেও বিপুল পরিমাণ
টাকা অনাদায়ী পড়ে রয়েছে। নানা জটিলতায় সেই রাজস্ব পুর কোষাগারে জমা হয়নি।
জটিলতা ঠিক কোথায়? পুর প্রশাসনের একটি অংশ জানাচ্ছে, অনেক বাড়ির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মালিকের মৃত্যুর পরে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তাঁর সন্তানরা হলেও তা আইনত করা হয়নি। ফলে মালিকানা বদলের তথ্য পুরসভার খাতায় সংশোধন করা হয়নি। যে কারণে আদায় করা যায়নি বকেয়া সম্পত্তিকরও। এমন একাধিক জটিলতা রয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কতগুলি প্লটের ক্ষেত্রে কর আদায়ে সমস্যা রয়েছে, তার কারণ কী— সেই সব বিষয়ে আগে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর পরে সমস্যা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে এত বিপুল টাকা অনাদায়ী সত্ত্বেও কেন তা আগে থেকে নির্দিষ্ট করা হল না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বাসিন্দারা বলছেন, উত্তর দমদমের জনপদ প্রাচীন। এলাকায় বাড়ি
ভেঙে একের পর এক বহুতল মাথা তুলছে। পাল্টাচ্ছে জমির চরিত্র, বদল ঘটছে তার মালিকানাতেও। সেই সব পরিবর্তন পুরসভার খাতায় পরিমার্জন না করলে কর অনাদায়ী থাকবেই।
এক পুরকর্তা জানান, নিয়মিত সম্পত্তিকরের বিল পাঠানো এবং তা আদায়ের কাজ চলছে। তা করতে গিয়েই সামনে এসেছে মোটা অঙ্কের কর অনাদায়ী থাকার বিষয়টি। পুর প্রশাসনের একাংশের আশা, বকেয়া সেই কর আদায় করা গেলে পরিষেবার মানোন্নয়ন তো ঘটবেই, পাশাপাশি একাধিক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, কিছু ক্ষেত্রে একাধিক জটিলতার কারণে সম্পত্তিকর আদায় করা সম্ভব হয়নি। সেই জটিলতার কারণ খুঁজে বার করে বকেয়া আদায়ের কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy