Advertisement
E-Paper

স্ত্রীকে খুনে ধৃতের সঙ্গী কে, জানতে ডাকা হবে আত্মীয়-বন্ধুদেরও

ভোম্বলের দাবি, গোটা কাজটি একাই করেছে সে। কিন্তু তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের মনে। তাই এ বিষয়ে জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিযুক্তের আত্মীয়-বন্ধুদের।

An image of dead

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ০৭:১৩
Share
Save

অভিযুক্ত স্বামী একাই স্ত্রীকে খুন করে দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কেভরেছিল, না কি ওই কাজে তাকে কেউ সাহায্য করেছিল, তা জানতে উদ্যোগী হল সিআইডি। সূত্রের খবর, রহস্যের জট ছাড়াতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে অভিযুক্ত ভোম্বল মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং বন্ধুদের। ইতিমধ্যেই তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি।

এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘লকডাউনের সময়ে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও ভাড়া বাড়িতে বা আশপাশের বাড়িতে লোকজন ছিলেন। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে দিনের বেলায় সকলের অলক্ষ্যে টুম্পার দেহ ঘরথেকে সেপটিক ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হল এবং তার পরে ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে ভিতরে ভরে দেওয়া হল, এটাই আমাদের ভাবাচ্ছে।’’

ভোম্বলের দাবি, গোটা কাজটি একাই করেছে সে। কিন্তু তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের মনে। তাই এ বিষয়ে কেউ কিছু জানেন কি না, সেটা জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিযুক্তের আত্মীয়-বন্ধুদের। এ ছাড়া, চলতি সপ্তাহে অভিযুক্তকে সোনারপুরের মিশনপল্লির ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হবে।

ভবানী ভবন সূত্রের খবর, মৃত টুম্পা মণ্ডলের মোবাইল ফোনের খোঁজ এখনও মেলেনি। এমনকি, ভোম্বলের মোবাইল নম্বর কী, তা-ও সে জানাতে পারেনি। তদন্তকারীদের দাবি, সে নিজের নম্বর বলতে চাইছে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। অথচ, তদন্তের স্বার্থে ভোম্বলের মোবাইল নম্বর জানার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, ঘটনার দিন স্ত্রীকে খুনের আগে বা পরে ভোম্বল কার বা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তা জানা দরকার। এর পাশাপাশি, ২০২০ সালের মার্চ মাসে ঠিক কোন দিন ওই খুন করা হয়েছিল, তা-ও এখনও জানা যায়নি বলে সিআইডি সূত্রের খবর।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে টুম্পার বাবা সোনারপুর থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় পুলিশ সেই সময়ে ভোম্বলকে গ্রেফতার করলেও টুম্পার খোঁজ মেলেনি। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে সিআইডি ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়ে ভোম্বলকে জেরা শুরু করলে এক সময়ে সে টুম্পাকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। সোনারপুরের মিশনপল্লির একটি বাড়ির পিছনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় টুম্পার হাড়গোড়। যা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CID Investigation Crime Septic Tank Death

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}