কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নিউ টাউনে একটি রেস্তরাঁর মালিককে মারধরের ঘটনায় বিধাননগর পুলিশের উপ-নগরপালের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, কবে থেকে কবে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানার সিসি ক্যামেরা কাজ করছিল না, তা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। দিতে হবে তদন্তের সর্বশেষ রিপোর্টও। ওই রেস্তরাঁর মালিক আনিসুলআলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। আনিসুলের বিরুদ্ধেও পাল্টা এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই মামলায়তাঁকে আগেই রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এ দিন সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃ্দ্ধি করে বিচারপতি বলেছেন, তদন্ত চললেও আনিসুলেরবিরুদ্ধে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবেনা পুলিশ।
এ দিন রেস্তরাঁ-মালিকের আইনজীবী শামিম আহমেদ কোর্টে অভিযোগ করেন, পুলিশ ঠিক মতো তদন্ত করছে না। বিষয়টিআপসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর মক্কেলকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ-ও অভিযোগ উঠেছে যে, আনিসুল যখন স্থানীয়থানার আইসি-কে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখন বিধাননগরের প্রাক্তন নগরপাল গৌরব শর্মার ফোন থেকে বার বার আইসি-র কাছে ফোন আসছিল। সরকারি আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন যে, প্রশাসনের উচ্চ মহল থেকে এই তদন্তে নজরদারি করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, আনিসুলের একটি রেস্তরাঁর ছাদে শুটিং করছিলেন সোহম। সে সময়ে গাড়ি রাখা নিয়ে তাঁর সঙ্গে আনিসুলের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, এর পরেই সোহম এবং তাঁর রক্ষীরা আনিসুলকে মারধর করেন। এ ব্যাপারেরেস্তরাঁর একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সামনে আসে (আনন্দবাজার পত্রিকা ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি)। সোহম ওই ঘটনার পরে দাবি করেছিলেন, আনিসুল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুকথা বলায় তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন। পরে সোহম নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy