চারতলা বাড়ির বারান্দা ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হল এক কিশোরীর। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, বড়তলা থানা এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটে। মৃত ওই কিশোরীর নাম হেতাল মালি (১৭)।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গাচরণ স্ট্রিটে মা-বাবার সঙ্গে ওই চারতলা বাড়িতে থাকত হেতাল। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ চারতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল সে। আচমকাই চার ফুট বাই দশ ফুটের বারান্দাটি ভেঙে হেতালকে নিয়ে নীচে পড়ে যায়। নীচে পড়ার সেই শব্দ শুনে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন। পুলিশ পৌঁছোনোর আগেই স্থানীয়েরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার হেতালের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বাড়িটি প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো। পুরসভার তরফে ওই বাড়িতে আগেই ‘বিপজ্জনক’ নোটিস দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ওই বাড়িতে ৬৫ জন ভাড়াটে রয়েছেন। অভিযোগ, বাড়ি সংস্কার করার জন্য বলা হলেও তা করা হয়নি। ওই এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুনন্দা সরকার জানান, কিশোরী মেয়েটি নিজেদের ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময়ে বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়ে। তার শরীরের একাধিক অংশে আঘাত লাগে। মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতার বাবা এবং মা আদতে গুজরাতের বাসিন্দা। তাঁরা দু’জনেই বাসন বিক্রি করেন। শনিবার সকালে বাড়ির বিপজ্জনক অংশ পুরসভা ভেঙে ফেলে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)