মেট্রোর সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকারও। আর এই সিদ্ধান্তের ফলেই সাত বছর ধরে চলা নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটতে চলেছে।
সম্প্রতি সেই ক্ষতিপূরণ নিয়ে রেলওয়ে বিকাশ নিগমের (আরভিএনএল) সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে রাজ্য প্রশাসন। তার পরেই ওই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় আড়াই কোটি টাকা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। কাকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, জেলা প্রশাসনই তা ঠিক করবে।
নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার মেট্রোপথ তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১১-র গোড়ায়। কিন্তু সেই কাজ করতে
গিয়ে সল্টলেক এবং নিউ টাউনের মাঝে মহিষবাথানের চার-পাঁচটি বাড়ির জন্য জটিলতা তৈরি হয়। প্রাথমিক ভাবে নগরোন্নয়ন দফতর বাড়িগুলি রক্ষা করতে মেট্রোপথের পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা করেছিল। সেই বিষয়ে রাইটস-কে নিয়োগও করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, মেট্রোপথ স্থানান্তরিত হলে প্রকল্পের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে। আরভিএনএল-ও মেট্রোপথের পুনর্বিন্যাস চায়নি। সে ক্ষেত্রে প্রকল্প বাতিল করে দেওয়ার সম্ভাবনাও উস্কে দিয়েছিল আরভিএনএল। তার পরেই অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে ময়দানে নামে রাজ্য সরকার।
সল্টলেক থেকে নিউ টাউনে ঢোকার মুখে রাজারহাট বক্স ব্রিজের আগে ও পরে পাঁচটি বাড়ি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে মহিষবাথানের একটি প্রাইমারি স্কুলও ছিল। সেটি সরিয়ে দেওয়া হলেও একটি গেস্ট হাউস এবং এক আবাসন কমপ্লেক্সের একটি বিল্ডিং নিয়ে জটিলতা কাটেনি।
সূত্রের খবর, প্রকল্প শুরুর আগেই মেট্রো বিভিন্ন বাড়িকে নোটিস দিয়েছিল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নোটিস জারির পরেও অনেক বাড়ি তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা ক্ষতিপূরণ দিতে পারবেন না। যদিও জমিমালিকদের একাংশের পাল্টা দাবি ছিল, নোটিস সম্পর্কে তাঁরা অবগত ছিলেন না। ফলে না জেনেই ওই জমিতে বাড়ি তৈরি করেছেন। এখন শুধু জমির দাম দিলেই হবে না। বাড়ি তৈরির খরচও দিতে হবে।
তা নিয়েই দেখা দেয় জটিলতা। গত মাসেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আরভিএনএল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। আলোচনার পরে রাজ্য প্রশাসন ক্ষতিপূরণের একটি অংশের (কাঠামোগত ক্ষতিপূরণ) ব্যয় বহন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy