কে
শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা
কেন
জঙ্গলের মধ্য থেকে শোনা যেত কালী মন্দিরের ঘন্টাধ্বনি। ঠনঠন-ঠনঠন। সেই থেকেই এলাকার নাম ঠনঠনিয়া। সেই ঠনঠনিয়াতেই সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি। যে মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী গান শুনেছেন কিশোর গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। কামারপুকুর থেকে এসে মন্দিরের অদূরে ঝামাপুকুরে তখন থাকতেন গদাধর। দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে গদাধর থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস হওয়ার পরেও বারবার দর্শন করতে এসেছেন ঠনঠনিয়া কালীকে। এই দেবী গান শুনেছেন সাধক কবি রামপ্রসাদ সেনের গলাতেও। তিনিও দর্শন করতে আসতেন সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতাকে।
কোথায়
বিধান সরণি, কলকাতা-৭০০০০৬
কখন
জঙ্গল অধ্যুষিত সুতানুটি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী। নদীর পাশে অরণ্যবেষ্টিত এক শ্মশানে তান্ত্রিক উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী তৈরি করেন মাটির সিদ্ধেশ্বরী কালীর মূর্তি। সেটা আনুমানিক ১৭০৩ সাল। ১৮০৩ সালে শঙ্কর ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ী মায়ের মন্দির গড়ে দেন। অধিষ্ঠাতা ভৈরব পুষ্পেশ্বর শিবের জন্য গড়ে দেন আটচালা। রাধারমণ মিত্র অবশ্য ম্যাককাচন সাহেবকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ঠনঠনিয়ার সাবেক কালীমন্দির ১৮০৩ সালে তৈরি হয়। কিন্তু বর্তমান মন্দিরের গায়ে এক পাথরে ১১১০ সাল লেখা আছে। অর্থাৎ, এই পাথরের প্রমাণে কালীমন্দির তৈরি হয়েছিল ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে। ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে নয়’।
এখন
শঙ্কর ঘোষের বংশধররাই এখনও এই মন্দিরের সেবায়েত। কার্তিক অমাবস্যায় মহা সমারোহে পূজিত হন সিদ্ধেশ্বরী। সেবায়েত পলাশ ঘোষ জানাচ্ছেন, এ বছরও পূজা হবে বিধিমতোই। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে তাঁরা ভিড় এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। অল্পসংখ্যক পুণ্যার্থীকে মন্দিরের চাতালে প্রবেশ করিয়ে বার করে নেওয়ার কথা ভাবছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকেই অগ্রাধিকার দেবেন তাঁরা।
শুক্রবার: দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy