ব্যস্ত: গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর এক কর্মী। ফাইল চিত্র
চলতি মাসেই ফুরোচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থার মেয়াদ। ফলে একাধিক উড়ান সংস্থা পড়েছে ফাঁপরে। মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সংস্থার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল উড়ান সংস্থাগুলি। তা নাকচ হয়ে গিয়েছে।
বিমান কলকাতায় নামার পরে তার সিঁড়ির ব্যবস্থা, যাত্রীদের মালপত্র নামানো, পরিষ্কার করা, আবার যাত্রীদের মালপত্র তোলা-সহ যাবতীয় কাজ করে এই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা। এক সময়ে উড়ান সংস্থাগুলিই এই কাজ করত। পরে কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা সংস্থাকে নিযুক্ত করে। কলকাতায় ভদ্র নামে একটি সংস্থা সেই কাজ করছিল। এ ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা এআইএএসএল এই কাজে নিযুক্ত ছিল।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বুধবার জানিয়েছেন, ভদ্রের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। কেন্দ্র সেই মেয়াদ বাড়াতে রাজি নয়। কলকাতায় অভ্যন্তরীণ উড়ান সংস্থার মধ্যে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা ভদ্রের পরিষেবা নিচ্ছিল। তা ছাড়াও কাতার, ফ্লাই দুবাইয়ের মতো কয়েকটি আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থাও তাদের পরিষেবা নিত। এখন সাধারণ আন্তর্জাতিক যাত্রী উড়ান বন্ধ। ফলে, ৩১ ডিসেম্বরের পরে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া ও ভিস্তারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করাবে এআইএএসএলকে দিয়ে।
উড়ান সংস্থাগুলির অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্র। তার মধ্যে এআইএএসএল-ও রয়েছে। অভিযোগ, এআইএএসএল-কে বিক্রির আগে শক্তিশালী করতে কেন্দ্র সমস্ত উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ওই সংস্থাকে দিয়ে করাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy