যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের (ডোমিসাইল কোটা) পক্ষেই সওয়াল করছেন একাধিক বিভাগের শিক্ষক। আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সিদ্ধান্ত হবে।
কিছু দিন ধরে যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণের দাবি উঠছে। আগেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েক জন শিক্ষক এই দাবি তুলেছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য শনিবার জানান, আরও কয়েকটি বিভাগ থেকেও একই দাবি উঠেছে। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখায় ভিন্ রাজ্যের বহু পড়ুয়া রয়েছেন। কোনও কোনও শাখায় এ রাজ্যের পড়ুয়ার থেকে ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ার সংখ্যাই বেশি। ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়াদের একাংশ যাদবপুরের শিক্ষণ পদ্ধতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছেন না। হিন্দিতে পড়ানোর দাবিও তুলেছেন তাঁদের কেউ কেউ। অনেক সময়ই ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ারা পরীক্ষায় তুলনামূলক ভাবে খারাপ ফল করছেন। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ারা রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা-তালিকায় উপরের দিকে থাকার ফলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারেন। কিন্তু ক্লাসে সেই মেধার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।’’ সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ‘নীতি পুলিশি’র পিছনেও কয়েক জন ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ার নাম জড়িয়েছে বলে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের একাংশের দাবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ-উপাচার্য এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ দত্ত জানান, ১০-১২ বছর আগে যাদবপুরে এই সংরক্ষণ ছিল। পরে তা তুলে দেওয়া হয়। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্টে উপরের দিকে বেশির ভাগ স্থান দখল করছে ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ারা। তা হলে কি এ রাজ্যের পডুয়াদের মেধা কমে যাচ্ছে?’’ এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন। চিরঞ্জীববাবু এ দিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের
পরে কর্মসমিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy