আবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে দাঁড়িয়েই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার লাইসেন্স করে দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।’’ কমিশনকে রাজ্যের শাসকদলের তাঁবেদার বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি।
শুভেন্দুর অভিযোগ কমিশনের তরফে দেওয়া একটি ভোটার সংক্রান্ত খসড়া নিয়ে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ অক্টোবর ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ বের করেছে কমিশন। তাতে কোন আসন মহিলা এবং কোন আসন তফশিল জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, তার একটা খসড়া বের করেছে। শুভেন্দুর অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া তৈরি হয়েছে নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে। স্থানীয় ভাবে সমীক্ষা না করে তৃণমূল নেতা এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ আমলাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খসড়াটি তৈরি হয়েছে। আবার এই খসড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সময় এবং সুযোগ নিয়েও অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘এই খসড়ার নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তা নিয়ে আবেদন করার শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছে ২ নভেম্বর। কিন্তু এমন সময়ে এই খসড়া বার করা হয়েছে, যখন মাসের অধিকাংশই দিনই সরকারি ছুটি।’’
রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে আমি অবজেকশন জানাতে এসেছিলাম। দেখলাম কমিশনারও নেই, সচিবও নেই। গ্রুপ ডি-র কর্মীর কাছে রিসিপ্ট করলাম। এই হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবস্থা!’’
শুভেন্দু দাবি করেছেন এই ‘ড্রাফট সার্ভে’ বাদ দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করতে হবে। আর তা না হলে তিনি আদালতে যাবেন। বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের ব্লকের নেতা, যারা একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে মিলে বিডিওরা ‘ড্রাফট পাবলিকেশন’ করেছেন। একে চূড়ান্ত করলে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’’
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সম্ভবত আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনের জন্য সীমানা পুনর্বিন্যাস, আসন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এ বার ভোটের আগে খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘বিরোধী নেতার কাজই হচ্ছে অভিযোগ করা। ওঁর (শুভেন্দু) অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। তাঁরই কাজই অভিযোগ করে যাওয়া। যা-ই বলেন, তার কোনও ভিত্তি থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy