Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Kunal Ghosh

শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ‘সৈনিক’ গড়পারের কুণাল, পূর্ব মেদিনীপুরে বিশেষ দায়িত্ব, মঙ্গলেই গৃহপ্রবেশ

রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য হলদিয়ায় বাড়িও নেওয়া হয়েছে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১১:০০
Share: Save:

নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের ‘দায়িত্বে’ এ বার তৃণমূল আনল কুণাল ঘোষকে। দীর্ঘ দিন রাজনীতি করলেও এর আগে তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়ে নিজের বসবাসের পাড়া কলকাতার গড়পার এলাকার বাইরে কোনও দিন যেতে হয়নি কুণালকে। নিজেকে তৃণমূলের ‘খারাপ সময়ের সৈনিক’ বলে উল্লেখ করা সেই কুণাল চললেন হলদিয়া। সেখানে বসেই শুভেন্দুর জেলায় আসন্ন পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরভোটের কৌশল সাজাবেন তিনি।

শুভেন্দু ‘কাঁটা’ ওপড়াতেই কুণালকে আসরে নামাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণালকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট এবং হলদিয়ার পুরনির্বাচনকে পাখির চোখ করে কুণালকে এই ‘বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট’ দেওয়া হল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সাংসদের কাজ হবে শুভেন্দুর জেলায় শাসকদলের সংগঠন মজবুত করে ভোটের লড়াইয়ে বিজেপিকে মাত দেওয়া। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ জন্য হলদিয়ায় একটি বাড়িও ভাড়া নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিক ‘গৃহপ্রবেশ’ হলদিয়ার সেই বাড়ির।

নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে কুণাল বলেন, ‘‘আমি দলের অনুগত এবং খারাপ সময়ের সৈনিক। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে কখনও পিছিয়ে আসিনি। এ বারও পিছিয়ে আসার প্রশ্ন নেই। সংগঠন দেখার কাজটা মূলত জেলার দায়িত্বে থাকা লোকজনই করবেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পূর্ব মেদিনীপুরে সকলের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করতে বলেছেন। সর্বস্ব দিয়ে তাই করব।’’

দুর্গাপুজোর পর থেকে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর মোড়কে জনসংযোগের কাজে নেমেছিল তৃণমূল। কুণাল নিজে পূর্ব মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় সভা করেছেন। যদিও নন্দীগ্রামের জেলায় তাঁর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের মানভঞ্জনেও কুণালের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত, দলীয় কোন্দলে বিরক্ত সুফিয়ানের ‘অভিমান’ ভাঙাতে সটান তাঁর বাড়িতেই চলে গিয়েছিলেন কুণাল। সুফিয়ানকে সঙ্গে করেই বিজয়ার অনুষ্ঠানের মঞ্চেও পৌঁছন তিনি। এ ছাড়াও শুভেন্দুর জেলার একাধিক বিজয়ার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কুণাল। এ বার সেই জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল সারদা-কাণ্ডে জেলে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর মুখে দলকে কটাক্ষ করে একাধিক বক্তব্য শোনা গেলেও তিনি দল ছাড়ার কথা বলেননি কোনও দিন। ২০২১ সালের ‘নীলবাড়ির লড়াই’-এর খানিক আগে দলে আবার সক্রিয় হতে দেখা যায় তাঁকে। কুণালকে দলের রাজ্য সম্পাদকের পদও দেওয়া হয়। তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলনেত্রী মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক— দু’জনেরই আস্থাভাজন কুণাল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কুণালকে পূর্ব মেদিনীপুরে ‘শুভেন্দু-কাঁটা’ ওপড়ানোর গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই তৃণমূলের একাধিক সূত্রের দাবি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE