মঙ্গলবারের ব্যস্ত সকালে বিবাদী বাগের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হঠাৎ আগুন লাগে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অফিসপাড়ায়। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন গিয়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বিবাদী বাগের একটি ব্যাঙ্কের দোতলার সার্ভার রুমে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে গোটা বহুতলে। কিছু পরে দমকলকর্মীরা এসে জানলার কাচ ভেঙে দোতলার ঘরে ঢোকেন। এসি ঘরটিতে কোনও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা ছিল না। এক জন দমকলকর্মী জানান, প্রচণ্ড ধোঁয়ায় ভিতরে ঢোকাই মুশকিল ছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও এসে পৌঁছয়। ব্যাঙ্কের এক কর্মী জানালেন, ভিতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা মজুত ছিল। কিন্তু কেউ ছিল না বলেই হয়তো সেই ব্যবস্থা কাজে লাগানো যায়নি।
দমকল সূত্রে খবর, সার্ভার রুমের ভেতরের অংশ ছাড়াও নষ্ট হয়েছে একাধিক কম্পিউটার, ফাইল, কাগজপত্র। পুড়ে গিয়েছে চেয়ার, টেবিল, আলমারি ও ঘরের কাঠের মেঝে। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রাকেশ শেট্টি জানান, ব্যাঙ্কের সমস্ত নথিরই ব্যাক আপ রাখা হয় নিয়ম মেনে। যত দিন না এই শাখার কাজ স্বাভাবিক ভাবে চালু হচ্ছে, তত দিন গ্রাহকেরা কাছাকাছি যে কোনও শাখা থেকে কোর ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিক ভাবে অনুমান, এসি যন্ত্রে শর্ট সার্কিট হওয়াতেই বিপত্তি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত, দমকলের ডি়জি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানান, কমলকুমার নন্দী নামে দমকলের এক ডিভিশনাল অফিসার আহত হয়েছেন। প্রচণ্ড তাপে তাঁর দু’টি হাতই ঝলসে গিয়েছে তাঁর।
ব্যাঙ্কের কর্মী তুষার চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘১০১ নম্বরে বেশ কয়েক বার ফোন করলেও কেউ তোলেননি। তার পরে ১০০ নম্বরে করি। সেখানে প্রথমেই ফোন তোলেন।’’ তবে দমকলের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘দমকলের সমস্ত ফোনই সব সময় তোলা হয়। এমনকী, এ দিনের আগুন লাগার ঘটনাও ১০১ নম্বর থেকেই জানা গিয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘যিনি অভিযোগ করেছেন, তার ফোন হয়তো কোনও কারণে পৌছয়নি। ‘ফলস রিং’ হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি দেখছি।’’
ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ও দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে দমকল। এত ধোঁয়া সামলে ভিতরে ঢোকা মুশকিল ছিল। তাড়াতাড়ি বিপর্যয় সামলানো গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy