Advertisement
E-Paper

কলসেন্টার থেকে তোলা নেবে কে, এই বিবাদেই গুলি একবালপুরে

শনিবার রাতে একবালপুর থানা এলাকার ডাক্তার সুধীর বসু রোডে দুই দল দুষ্কৃতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এলে গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতীরা।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ০৬:২৫
Share
Save

কলসেন্টার চলছিল লুকিয়ে, বেআইনি ভাবে। সেখান থেকে তোলাবাজি করে টাকা আদায় করাই ছিল দুষ্কৃতীদের কাজ। পুলিশ সূত্রের খবর, সেই নিয়েই শনিবার রাতে একবালপুর থানা এলাকার ডাক্তার সুধীর বসু রোডে দুই দল দুষ্কৃতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতীরা। গুলিতে আহত না হলেও সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হয়েছেন একবালপুর থানার এক পুলিশকর্মী।

লালবাজার জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আরও তিন জনকে রবিবার রাতে ধরা হয়েছে। উভয় পক্ষের মোট পাঁচ জনের মধ্যে রয়েছে দুই মূল অভিযুক্ত, ইডলি ভিকি ওরফে ইতালি ভিকি এবং মহম্মদ ইমরান। বাকি ধৃতদের নাম তনভির আলম, মহম্মদ জাহির ও ফরিদ আলম। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে সেভেন এমএম পিস্তলের এক রাউন্ড গুলি এবং ফাঁকা কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

লালবাজার সূত্রের খবর, বন্দর এলাকায় বেশ কিছু বেআইনি কলসেন্টার চলছিল। সেগুলির মালিকদের কাছ থেকে তোলাবাজি করে টাকা আদায় করত বেশ কয়েকটি দুষ্কৃতী দল। ইমরান এবং ভিকির দল তাদের মধ্যে অন্যতম। শনিবার রাতে ডাক্তার সুধীর বসু রোডে একটি কলসেন্টার থেকে কারা টাকা আদায় করবে, তা নিয়ে ওই দু’জনের দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বচসা এবং পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোলমালের খবর পেয়ে একবালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ, পুলিশকে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দুই পক্ষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইডলি ভিকি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তবে গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

এক পুলিশকর্তা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে জখম হন একবালপুর থানার কনস্টেবল সঞ্জয় পান্ডা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ওই পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বেআইনি কলসেন্টার শহরে নতুন নয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তেই এমন কলসেন্টার চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, কলসেন্টারকে কেন্দ্র করে যে তোলাবাজির চক্র সক্রিয় রয়েছে, তা ভাঙতে চান পুলিশ কমিশনার। তাই শনিবার রাতের গুলি চালানোর ঘটনায় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখাকে নামানো হয়। কোথাও যাতে বেআইনি কলসেন্টার না চলে, তা দেখার জন্য গুন্ডা দমন শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Ekbalpur Shots-fired

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}