Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Sewerage

সমস্যার পিছনে বেহাল নিকাশিই, দাবি বাসিন্দাদের

স্কুলছাত্রের মৃত্যুর জন্য এলাকার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করলেন হাতিয়াড়ার অরুণাচল

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৮
Share: Save:

পাঁচিল ভেঙে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর জন্য এলাকার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করলেন হাতিয়াড়ার অরুণাচলের বাসিন্দারা।

বুধবার সাইকেলে চাপিয়ে ভাইকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাওয়ার পথে দেওয়াল ভেঙে পড়ে সায়ন রায় নামে বছর বারোর ওই ছাত্রের উপরে। ছোট ভাই অয়ন কোনও মতে বেঁচে গেলেও রক্ষা পায়নি সায়ন। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, অল্প বৃষ্টিতে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়।সেই জল বেরোনোর জন্য প্রয়োজনীয় নিকাশি নালা নেই। স্থানীয়দের দাবি, জল জমে থাকায় ওয়ার্ডের বেশ কিছু পাঁচিল কমজোরি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধাননগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত অরুণাচল বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে বলে দাবি তোলেন স্থানীয়েরা।

গত কয়েক দিন ধরে সেভাবে বৃষ্টি না হলেও মৃত ছাত্রের বাড়ি সুভাষপল্লি থেকে স্কুল যাওয়ার রাস্তায় গোড়ালি সমান জল জমে রয়েছে। বাসিন্দা সৌরভ মৌলিক জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই জল জমে রয়েছে। পড়ুয়াদের প্রতিদিন জল ঠেলেই স্কুলে যেতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুলেখা পান জানান, একে বেহাল রাস্তাঘাট তার উপরে জমা জল, এই পরিস্থিতির জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢুকতে চায় না অরুণাচল এলাকায়। সুলেখার কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগে অ্যাম্বুল্যান্স না ঢোকায় লিপিকা সর্দার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হেঁটে গলির মুখ পর্যন্ত যেতে হয়েছিল।’’ প্রায় দিনই ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা বিজন সমাদ্দারের কথায়, ‘‘নামেই বিধাননগর পুরসভা। কর দিলেও রাস্তাঘাট, নর্দমা, আলোর পরিষেবা পাচ্ছি না। সাড়ে তিন বছরে নর্দমাটুকুও তৈরি হয়নি।’’

স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর গীতা সর্দার বলেন, ‘‘সমস্যা রয়েছে অস্বীকার করছি না। দ্রুত নর্দমা তৈরির কাজ শুরু করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’’ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ১৩, ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য খালের উপরে দখলদারিকে দায়ী করেছেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE