রাসবিহারী স্মরণে সাংসদ সুখেন্দুশেখর। ছবি: সংগৃহীত।
লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর প্রাণঘাতী হামলার জন্য ব্রিটিশ পুলিশ তখন হন্যে হয়ে খুঁজছে তাঁকে। কিন্তু ছদ্মবেশে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দফতরে হাজির হয়ে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী’ পরিচয় দিয়ে জাপান যাত্রার অনুমতি জোগাড় করে ফেলেছিলেন তিনি! তবে ১৯১৫ সালে জাপান যাত্রার পরে আর দেশের ফেরা হয়নি বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর। সে দেশেই তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘নাকামুরায়া নো বোস’ অর্থাৎ ‘নাকামুরায়ার বসু’ হিসেবে।
তাঁকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের জন্য ইংরেজ সরকার জাপানের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকলে সে দেশের জাতীয়তাবাদী নেতা তোয়ামা মিৎসুরু রাসবিহারীকে অন্তরালে রাখার বন্দোবস্ত করিছিলেন। জাপান থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বন্দি ভারতীয় সেনাদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। পরবর্তী কালে যার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর কাঁধে। আর তার পরের কাহিনি ইতিহাস।
অগ্নিযুগের বিপ্লবী রাসবিহারীর ১৩৭তম জন্মদিবস উপলক্ষে বুধবার আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত হয়েছিল এক আলোচনা সভা। ইয়ং কলকাতার আহ্বায়ক সনাতন হালদার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তা তালিকায় ছিলেন, সাংসদ সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় এবং শিক্ষাবিদ সুলগ্না চক্রবর্তী ও কমলেন্দু মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রণেন্দ্রনাথ মালাকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy