Advertisement
E-Paper

গ্রেফতার করে ভুল করল পুলিশ: আদালতে প্রবেশের মুখে রূপা, কী বললেন পুলিশ কমিশনার মনোজ?

বৃহস্পতিবার সকালে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দুপুরে তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হল। কোর্টে প্রবেশের মুখে রূপা জানান, তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভুল করেছে।

বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের সামনে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের সামনে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৮
Share
Save

বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্নার পর বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দুপুরে তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হল। আদালতে প্রবেশের মুখে রূপা জানান, তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভুল করেছে। যদিও কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, রূপা থানার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।

আলিপুর আদালতের সামনে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

আলিপুর আদালতের সামনে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আলিপুর আদালতে প্রবেশের মুখে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপাকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? উত্তরে রূপা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি নাকি ওদের কাজে বিরক্ত করেছি। আমি তো কিছুই করিনি। থানার সামনে ধর্নায় বসেছিলাম। আমাকে গ্রেফতার করে ভুল করল পুলিশ। উচিত কাজ করেনি।’’

রূপার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সিপি বলেন, ‘‘বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানার সামনে উনি এসেছিলেন। ওঁর দাবি ছিল, যাঁরা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন, তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। আমরা জানাই, আইনের পথে আদালতে যা করার করতে হবে। তার পরেও উনি থানার সামনে বসেছিলেন। ওঁর কাজে পুলিশের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই আমরা ওঁকে আটক করি। পরে ওঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘রূপার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা লিগ্যাল টিম পাঠাচ্ছি।’’

উল্লেখ্য, বাঁশদ্রোণীতে বুধবার সকালে জেসিবির পে লোডারের ধাক্কায় গাছের সঙ্গে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। তার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখনও কাউন্সিলরকে এলাকায় দেখা যায়নি। পুলিশকে ঘিরে দিনভর বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পাটুলি থানার ওসিকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল এবং ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

এই ঘটনার পর কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে রাতেই বাঁশদ্রোণী থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন রূপা। থানার ভিতরেই ধর্নায় বসেন তিনি। রাতভর ধর্নার পর সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।

Student Death Bansdroni Police Station Bansdroni

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}