n প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস। ফাইল চিত্র
অতিমারির এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের গবেষণাগার খুলে না দেওয়ায় গবেষণার কাজ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ গবেষকদের একাংশের। সেই সঙ্গেই তাঁদের অভিযোগ, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা হলেও রাজারহাটে প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ‘স্কুল অব বায়োটেকনোলজি’ (এসবিটি) খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা গবেষণা চালাতে পেরেছেন। যদিও উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া অভিযোগগুলি অসত্য বলেই এ দিন দাবি করেছেন। গবেষকদের আরও অভিযোগ, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের জীববিজ্ঞান বিভাগ
থেকে বহু যন্ত্রপাতি রাজারহাটের নতুন ক্যাম্পাসের এসবিটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ দিন গবেষকদের একাংশের লিখিত এই অভিযোগপত্র টুইটারেও পোস্ট করা হয়। সেই টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেলকেও ট্যাগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখুন, এমন আবেদনও জানানো হয়েছে।
তবে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন উপাচার্য। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের প্রথম দিক থেকেই কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূতত্ত্বের ল্যাবরেটরি কোভিড-বিধি মেনে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে গবেষকদের। যাঁদের গবেষণাপত্র প্রকাশের তাড়া ছিল, তাঁরা ল্যাবরেটরি ব্যবহার করতে পেরেছেন। এ বার আমরা ধীরে
ধীরে কোভিড-বিধি মেনে রস্টার তৈরি করে রিসার্চ স্কলারদেরও ল্যাবরেটরি ব্যবহার করতে দেব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার নির্দেশ না দিলে তো গোটা ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া যায় না।’’
এসবিটি-তে গবেষণার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের তত্ত্বাবধানেই হয়েছে। যা প্রয়োজন, তা তাঁর সম্মতিতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনুরাধা বলেন, ‘‘প্রত্যেককে এক ভাবে দেখা হয়েছে। রিসার্চ স্কলারদের সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এক ক্যাম্পাসের সঙ্গে আর এক ক্যাম্পাসের কোনও পার্থক্য ছিল না।’’
প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের সভানেত্রী মিমোসা ঘোড়াই নিজেও জীববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী। মিমোসার অবশ্য বক্তব্য, প্রেসিডেন্সির মূল ক্যাম্পাস খোলার জন্য তাঁরা টানা দাবি জানিয়ে আসছেন। কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের গবেষকদের গবেষণার কাজে সত্যিই অসুবিধা হয়েছে। রাজারহাট ক্যাম্পাসের এসবিটি-তে গবেষকেরা যেতে পারলেও কলেজ স্ট্রিটে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি, মিমোসার দাবি, জীববিজ্ঞান বিভাগের অনেক যন্ত্রপাতিই এসবিটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy