প্রতীকী ছবি
এ বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে, বুধবার থেকে শুরু হয়েছে তাদের মার্কশিট দেওয়ার কাজ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা মতো পরীক্ষার্থীরা নিজে নয়, স্কুলে এসে মার্কশিট নিয়ে গিয়েছেন তাদের অভিভাবকেরা। কাল, শুক্রবারও মার্কশিট দেওয়ার কাজ হবে। কিন্তু যে পরীক্ষার্থীরা তাদের খাতা স্ক্রুটিনি বা রিভিউ করাতে চায়, সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদের নিয়ে। অভিযোগ, নিজে মার্কশিট নিতে স্কুলে আসতে না-পারায় ওই পরীক্ষার্থীরা রিভিউ বা স্ক্রুটিনির জন্য আবেদনই করতে পারেনি।
সমস্যা ঠিক কোথায়? গত ১৫ জুলাই ফল প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মার্কশিট নিতে স্কুলে আসবে না পরীক্ষার্থীরা। বদলে তাদের অভিভাবকেরা এসে মার্কশিট নিয়ে যাবেন। কিন্তু যে পরীক্ষার্থীরা রিভিউ বা স্ক্রুটিনি করতে চায়, পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী তাদের স্কুলে এসে একটি ফর্ম পূরণ করে সেখানে রিভিউ বা স্ক্রুটিনির বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে। এর পরে ফর্মে সই করতে হবে। অথচ স্কুলে আসার অনুমতিই না-পাওয়ায় সই করা তো দূর, ফর্ম পূরণও করতে পারেনি তারা। এই জটিলতায় আটকে গিয়েছে আবেদন করার গোটা প্রক্রিয়াই।
বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, অনেক অভিভাবক তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীর হয়ে তাঁরা ফর্মে সই করে দিলে হবে কি না। কিন্তু নিয়ম না-থাকায় তাঁদের সেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সমস্যা রয়েই গিয়েছে। কয়েকটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমন পরীক্ষার্থীদের নাম এবং ফোন নম্বর তাঁরা রেখে দিয়েছেন। যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের ডেকে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
বিভিন্ন শিক্ষক-সংগঠনগুলির বক্তব্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আর একটু সচেতন হলে এই জটিলতা হত না। ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘যারা স্ক্রুটিনি বা রিভিউ করতে চায়, তারা বিভ্রান্ত হচ্ছে। ওই পরীক্ষার্থীরা যাতে দ্রুত আবেদন করতে পারে, তার জন্য পর্ষদের কাছে অনুরোধ করছি। পর্ষদ দ্রুত এর ব্যাখ্যা দিক।’’ ‘শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’-এর রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অনলাইনে রিভিউ বা স্ক্রুটিনির আবেদন জানাতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে কেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অনলাইনে সেই আবেদন জানাতে পারবে না?’’ এই নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy