কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে তখন মেট্রো রেলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন নবনিযুক্ত রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। মেট্রো কর্তারা জানিয়েছেন, নিউ গড়িয়া থেকে নোয়াপা়ড়া মেট্রোয় এসি এবং নন-এসি দু’ধরনের ট্রেনই রয়েছে। এ কথা শুনেই নতুন রেলমন্ত্রী অবাক হয়ে বলেন, ‘‘যেখানে অতটা পথ মেট্রো মাটির নীচে সুড়ঙ্গ দিয়ে যায়, সেখানে এতগুলি নন-এসি ট্রেন চলে! এটা তো যাত্রীদের পক্ষে খুবই কষ্টের।’’ এর পরেই অবিলম্বে ওই পথে সমস্ত ট্রেন এসি করার নির্দেশ দেন রেলমন্ত্রী।
মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন, এমনিতে কলকাতায় যে নতুন মেট্রো প্রকল্পগুলি হচ্ছে, সেগুলিতে সবই এসি ট্রেনই আনা হচ্ছে। কিন্তু চালু এই প্রকল্পে প্রথম থেকে নন-এসি ট্রেনই চলত। পরে এসি ট্রেন এলেও পুরনো নন-এসি ট্রেন কিছু রয়ে গিয়েছে। এক মেট্রো কর্তা বলেন, ‘‘সুড়ঙ্গে সাধারণত গরম হাওয়া থাকে। বেশি ভিড় হলে বা ট্রেন আটকে পড়লে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তা মাথায় রেখেই মন্ত্রী ওই নির্দেশ দিয়েছেন।’’ বর্তমানে ১৩টি এসি ট্রেন এবং ১৪টি নন-এসি ট্রেন চলে। মন্ত্রী নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই ১৪টি নন-এসি বাতিল করে এসি ট্রেন আনতে হবে।
সব এসি ট্রেন করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, মেট্রো রেলের ‘অপারেটিং রেশিও’ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। বর্তমানে মেট্রোকে ১০০ টাকা আয় করতে ৩০০-র বেশি টাকা খরচ করতে হয়। ওই খরচ কমাতে বলেছেন মন্ত্রী। তবে ভাড়া না বাড়িয়ে অন্য উপায়ে আয় বাড়িয়ে তা কমানোর চেষ্টা করতে বলেছেন তিনি। প্রয়োজনে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে মেট্রো স্টেশনগুলিতে বাণিজ্যিক কেন্দ্র তৈরির পরামর্শও দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy