শান্তনু সেন ও নির্মল মাজি। ফাইল ছবি
চার বছর পরে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে। শুক্রবার শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পূরণ। এ দিনই প্রথম সমাবেশ করলেন তৃণমূলপন্থী চিকিৎসক প্রার্থীরা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে সেই সভায় অন্যেরা থাকলেও ছিলেন না দুই চিকিৎসক নেতা, সাংসদ শান্তনু সেন ও বিধায়ক নির্মল মাজি।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে অ্যাড-হক কমিটি গড়েছে, তাতেও নেই ওই দু’জন। সেখানে সভাপতি বিধায়ক-চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। সুদীপ্ত যে প্রার্থী-তালিকা ঘোষণা করেছেন, তাতেও বাদ শান্তনু-নির্মল। এ দিন সমাবেশে সুদীপ্ত বলেন, ‘‘দলের সর্বোচ্চ স্তরের আশীর্বাদ নিয়েই প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন। প্রত্যেকের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। তাই জয় নিয়ে সংশয় নেই।’’
সমাবেশে ওই দুই চিকিৎসক-নেতা নেই কেন? সুদীপ্ত বলেন, ‘‘সকলকেই ডাকা হয়েছে। যাঁরা পেরেছেন, এসেছেন।’’ যদিও শান্তনুর দাবি, ‘‘আমাকে ডাকা হয়নি। সুদীপ্তবাবুর ঘোষিত প্রার্থী-তালিকা যদি দলের অনুমোদিত হয়ে থাকে, তা হলে দলীয় সৈনিক হিসেবে পাশে আছি।’’ আর নিজের বিধানসভা এলাকায় কাজ থাকায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন বলেই দাবি নির্মলের।
তাঁরা জয়ী হলে মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাজকর্মে ‘ডিজিটালাইজ়েশন’-এ জোর দেওয়া হবে, জানালেন প্রার্থী-চিকিৎসক সুশান্ত রায়। বললেন, ‘‘খাম গিয়েছে, কিন্তু ভিতরে ব্যালট নেই, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় এবং সর্বত্র যাতে তা ঠিক মতো পৌঁছয়, তা দেখা হচ্ছে।’’
ভোটার প্রায় ৬২ হাজার। গত ভোটে ৫০ হাজার ব্যালট ইসু করা হলেও ঠিকানা ভুল থাকায় ফেরত আসে ১৭-১৮ হাজার। ‘মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার’ ও ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’ যৌথ ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy