ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার। এর জন্য প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করতে হবে। রবিবার অভিভাবকদের একটি কনভেনশনে এমনই দাবি উঠল। মহাবোধি সোসাইটি হলে ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ওই কনভেশনে অংশ নেন রাজ্যের ৫০টির বেশি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। ছিলেন কয়েক জন শিক্ষাবিদও।
অতিমারিতে স্কুল বন্ধ থাকলেও বহু বেসরকারি স্কুল আদালতের নির্দেশ না মেনে বেশি ফি নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেক অভিভাবক। তাঁদের দাবি, পড়াশোনা ছাড়াও অন্য পরিষেবা বাবদ ফি নিয়েছে বেশ কিছু স্কুল। কিন্তু ওই পরিষেবা পড়ুয়ারা পায়নি। আবার কিছু বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, অনেক অভিভাবক আদালতের নির্দেশ মতো ফি দেননি। ফলে স্কুল চালাতেই সমস্যা হচ্ছে। এই বিতর্কের জেরে দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভও হয়েছে। তার জেরে কয়েক দিন বন্ধ ছিল ওই স্কুল। যে পড়ুয়ারা ফি দেয়নি, তাদের ক্লাস করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য আদালতের নির্দেশে সবাইকে ক্লাস করতে দেয় ওই স্কুল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
অভিভাবকদের মতে, বেসরকারি স্কুলগুলি ইচ্ছা মতো চলছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার। অভিভাবকদের ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আট বছরে বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর খরচ বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। যা মানুষের আয় বৃদ্ধির থেকে অনেক বেশি। দেশের বহু রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আইন থাকলেও এ রাজ্যে তেমন কোনও আইন নেই। নেই কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থাও। এই দুই দাবি-সহ আরও ন’দফা দাবিতে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy