ছবি আঁকছেন শিল্পীরা। ছবি: শ্রমণা মজুমদার ও দীপ্ত দাস।
গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার এক মাস কাটল। বিচারের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ চলছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগের দিন, রবিবার চিত্রকরদের ডাকা কর্মসূচি ভরেছে রঙে রঙে। প্রতিবাদের ভাষা ফুটে উঠেছে ছবির মাধ্যমে। নানা রঙে রাস্তায় নানান ছবি এঁকেছেন চিত্রকরেরা। শামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। বিভিন্ন দিক থেকে ছবি আঁকতে আঁকতে শিল্পীরা জড়ো হলেন যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকেই শুরু হল ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। রাস্তায় তুলির টানে লেখা হল বিভিন্ন স্লোগান।
যাদবপুরের প্রতিবাদ মঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়েলেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই না কেউ যেন আমার মতো সন্তানহারা হোক।’’
যাদবপুরের প্রতিবাদ মঞ্চে নির্যাতিতার পরিবার। সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁর দাদা বলেন, ‘‘যাঁরা প্রত্য়ক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাসতি হোক। আমরা সবাই চেয়েছিলাম প্রশাসন আমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্ষন্ত সাহায্য করবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, প্রশাসন থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। জানি না, এই নারকীয় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে প্রশাসনের এত কী তাড়া ছিল? আমরা চেয়েছিলাম দেহ রেখে দিতে, কিন্তু পারিনি। দাহ করার যে ব্যস্ততা ছিল, তা আপনারা ঘটনার পরম্পরা দেখেই বুঝতে পেরেছেন।’’
রঙ দিয়ে রাস্তাতেই মেয়ের পায়ের ছবি ফুটিয়ে তুললেন শিল্পীরা। লেখা হল, ‘আমার দুর্গা’।
নানা রঙের রঙিন রাস্তা। শুধু আঁকা নয়, লেখাও ফুটে উঠে রাস্তায়। লেখা হচ্ছে নানান স্লোগান।
বিকেলে ধর্মতলায় চিকিৎসকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রাতে তাঁরা পৌঁছে গেলেন যাদবপুরে। সেখানে চিত্রকরদের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিলেন তাঁরা।
যাদবপুরে পুলিশের ব্যারিকেডে ক্যানভাস ঝুলিয়ে ছবি আঁকছেন প্রতিবাদীরা।
শিল্পীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রঙ-তুলি হাতে ছবি আঁকছেন। সেই ছবিতে ফুটে উঠছে প্রতিবাদের স্বর।
যাদবপুর আর্টিস্ট ফোরামের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। নাম 'রাজপথই ক্যানভাস'। আঁকার পাশাপাশি চলছে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও।
সুকান্ত সেতু মোড়ে রাস্তায় তুলির টানে ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চিত্রকর সমীর কুন্ডু।
রাস্তা যেন ক্যানভ্যাস। আর সেই ক্যানভাসে ছবি আঁকতে রঙ-তুলি হাতে নেমে পড়েছেন চিত্রকরেরা। রাস্তায় ফুটে উঠছে একের পর এক ছবি। শুধু ছবি নয়, লেখার মাধ্যমেও ফুটে উঠবে প্রতিবাদের ভাষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy