একটি অনুষ্ঠানে (বাঁদিক থেকে) অভীক মজুমদার, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও কালিকাপ্রসাদ। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
কালিকা তো আমার পরিবারেরই একজন। এ কী শুনলাম! কী যে চলছে মনের মধ্যে বলে বোঝাতে পারব না।
১৯৯৭ থেকে ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। শিলচরের ছেলে, কলকাতায় পড়তে এসেছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পারেটিভ লিটারেচার নিয়ে পড়ত। আমার ছাত্র ছিল ও। অদিতি মানে আমার বোনের ব্যাচমেট। সেই সূত্রেই আমাদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়। এখানেই থাকত তো ও। ওর স্ত্রী ঋতচেতার সঙ্গেও আমার বাড়িতেই আলাপ। তারপর তো হাসি, গান, আড্ডা…। আমি তো ভাবতেই পারছি না।
আরও পড়ুন, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, ভয় হচ্ছে, মিস করছি কালিকা…
ওকে প্রথম দেখেছিলাম যাদবপুরে একটা বিতর্ক সভায়। অসাধারণ বলেছিল। ছাত্র হিসেবে খুব ভাল ছিল। আসলে ওর একটা পারিবারিক ইতিহাস আছে। বাবা, কাকারা অসাধারণ শিল্পী। ওদের পারিবারিক সংগ্রহে প্রচুর গান ছিল। সেগুলোই সকলকে শোনাতে চাইত কালিকা। সেই থেকেই ‘দোহার’-এর ভাবনা। নতুন পথ চলা। এই ‘দোহার’ নামটাও আমারই দেওয়া।
কত কী যে শিখেছি ওর কাছে…। শুধু গান নিয়ে নয়। অনেক বিষয় নিয়ে কথা হত। অসম্ভব ভাল মানুষ ছিল কালিকা। এ কী হয়ে গেল…!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy