মা উড়ালপুলের উপরে সাজানো হয়েছিল টবগুলি।
সৌন্দর্যায়নের জন্য মা উড়ালপুলের উপরে বসানো হবে গাছের টব। সিদ্ধান্ত হতেই তা দ্রুত রূপায়ণের জন্য বলা হয় বন বিভাগকে। কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু উড়ালপুলে শ’তিনেক গাছের টব বসানোর পরেই হঠাৎ টনক নড়ে ওই উড়ালপুলের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের। তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগে, সেতুর উপরে এই বাড়তি ওজন চাপানো কি ঠিক হচ্ছে? সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, গাছ ও জল মেশানো মাটি-সহ এক-একটি টবের ওজনই প্রায় এক টন। ঠিক হয়েছিল, ওই ধরনের সাড়ে চার হাজার টব বসানো হবে। অর্থাৎ, অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার টন ওজন পড়বে উড়ালপুলের উপরে। তা বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি টব বসানো বন্ধ করে দেন কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা।
পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, মা উড়ালপুলের সুরক্ষার কথা ভেবেই দুই লেনের মাঝে টব দিয়ে ডিভাইডার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও সেই আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু টব বসানোর পরেই কেএমডিএ-র বিশেষজ্ঞেরা বুঝতে পারেন, বেশি ওজন ওই উড়ালপুলে দেওয়া ঠিক হবে না। তার পরেই তা সরিয়ে ফেলা হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে, ছোট ছোট টব দিয়ে তা সাজানো হবে।
ভাঙা টব পড়ে আছে বাইপাসের ধারে।
এই ঘটনার পরে অভিযোগ উঠেছে, সরানোর পরে টবগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবং সেই জঞ্জাল বাইপাসের ধারে ডাঁই করে রাখা হয়েছে। যদিও পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ওই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তোলার সময়ে কয়েকটি টব ভেঙে গিয়েছে। তবে অধিকাংশই সরিয়ে রাখা হয়েছে।
ফাইল ও নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy