প্রতীকী ছবি
শহরে আরও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে সামনে আসছে পরিচিত-যোগ। কিন্তু ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রবিবার কোনও ক্রেতাকে গয়না দেওয়া কথা ছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপকুমার গুপ্তের। সেই কারণেই পোস্তায় নিজের গদিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই খুন হন। এই গয়না দেওয়ার কথা পরিচিত কেউ ছাড়া আর কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয় বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। ওই দোকান ও আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিন জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক জন দিলীপবাবুর দোকানের প্রাক্তন কর্মী বলে পুলিশের সন্দেহ।
তবে এর সঙ্গে এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। যেমন, মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে দিলীপবাবু গদিতে গেলেও খুনের সময়ে তাঁরা কোথায় ছিলেন? কাকে গয়না দেওয়ার কথা ছিল? তিনি কি এসেছিলেন? গয়না দিতে ছুটির দিনে দোকানে যাওয়ার কথা কে কে জানতেন? লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে থানার
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই পরিচিত-যোগের সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের এক অতিথিশালায় খুন হন ষাটোর্ধ্ব স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বেদ। ভবানীপুরের লি রোডের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ় পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে অতিথিশালায় উঠেছিলেন বলে জেনেছিল পুলিশ। সেখানেই তিনি খুন হন বলে অনুমান। সেই সূত্রে এক জনকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করলেও ঘটনার প্রায় ১৪ দিন পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। উল্টে মুক্তিপণ চেয়ে ভিক্টোরিয়ার কাছে ওই প্রৌঢ়ের পরিবারকে ডেকে এনে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অভিযুক্ত চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। ভিন্ রাজ্যে গিয়েও তার নাগাল মেলেনি। শেষে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হুলিয়া জারি করতে হয়েছে। পোস্তার খুনের ঘটনাতেও তেমন কোনও সূত্র তদন্তকারীদের হাতে আসেনি। তবে
অভিযুক্তদের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে পুলিশের দল গিয়েছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের জামাইয়ের সঙ্গে মিলে কয়েক বছর আগে সোনার ব্যবসা শুরু করেছিলেন দিলীপবাবু। ব্যবসার কাজে আগে বেঙ্গালুরুতে থাকলেও বর্তমানে কলকাতার আলিপুরে থাকতেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, গত রবিবার মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গেই পোস্তায় নিজেদের গদিতে গিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। সেখানেই পরে হাত-পা বাঁধা এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর মাথার পিছন দিকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখের দু’দিকে কাটা চিহ্ন রয়েছে। কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তা করা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করার চিহ্নও মিলেছে।
পরিবার সূত্রে পুলিশ জেনেছে, বরাত দিয়ে যাওয়া সোনার গয়না ওই দিন ক্রেতাকে দেওয়ার কথা ছিল। তাই মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে গদিতে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। কাজের শেষে কর্মীরা চলে যাওয়ার পরে ক্রেতার জন্য সম্ভবত একা অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এর পরে দোকানের এক কর্মী ফিরে রক্তাক্ত দিলীপবাবুকে দেখে তাঁর পরিবারকে খবর দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy