বিপজ্জনক: বিদ্যাসাগর সেতুমুখী কোনা এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ রোডের অংশে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কোথাও পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে মাস তিনেক আগেই। কোথাও রাস্তা একেবারে ভেঙে চৌচির। কোথাও জমা জলের তলায় মরণফাঁদের মতো লুকিয়ে রয়েছে গভীর গর্ত। সেখানে গাড়ির চাকা পড়ে আটকে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে যানজট। সেই যানজট চলছে দিনভর। এটাই এখন নিত্যদিনের ছবি।
হাওড়ার কোনও অলিগলির নয়, এই ছবি রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নের পাশ দিয়ে যাওয়া কোনা এক্সপ্রেসওয়ের। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, প্রতি বর্ষার শুরুতেই হাওড়ার দিক থেকে বিদ্যাসাগর সেতুমুখী কোনা এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ রোডের এই হাল হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে অন্যান্য বছরে দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা হয়। এ বার তা-ও হয়নি।
হাওড়া সিটি পুলিশের বক্তব্য, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ‘ওয়েলকাম হাওড়া গেট’ থেকে গোটা বিদ্যাসাগর সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স বা এইচআরবিসি। অভিযোগ, ওই সংস্থাকে বার বার বলেও কোনও ফল হয়নি। ওই অ্যাপ্রোচ রোড না সারানোর জন্য ভুগতে হচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিশকে। হয়রান হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। গাড়ির চাপ বাড়লেই নিত্যদিন ওই জায়গায় যানজট শুরু হচ্ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে জট পৌঁছে যাচ্ছে ক্যারি রোড পর্যন্ত। ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজট ছাড়াতে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে পুলিশের।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা এইচআরবিসি-সহ প্রশাসনের আরও উঁচু মহলে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। রাস্তা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।’’
রাস্তা ভেঙে পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ হতে পারে, তা এক বার ওই রাস্তা দিয়ে গেলেই মালুম হয়। চতুর্দিকে এত বড় বড় গর্ত যে সে সব এড়িয়ে গাড়ি চলাচল করাই মুশকিল। তার উপরে জল জমে থাকায় গর্তের গভীরতা অনুমান করা সম্ভব হয় না চালকদের পক্ষে। ফলে নিত্যদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। পুলিশ জানায়, এর মধ্যে গত কয়েক দিনের বর্ষায় গর্তগুলি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। স্কুটার, মোটরবাইক-আরোহীরা পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন।
তবে শুধু নবান্ন সংলগ্ন কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অ্যাপ্রোচ রোডই নয়, জাতীয় সড়কের তালিকাভুক্ত ওই রাস্তার বাকি অংশও ছোট-বড় গর্তে ভরে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়েলকাম হাওড়া গেট থেকে নিবড়া পর্যন্ত কোনা এক্সপ্রেসওয়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য পূর্ত দফতরের। ওই রাস্তায় যে গর্ত হয়েছে, তা মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
পূর্ত দফতরের এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য দু’দিন কাজ বন্ধ ছিল। আমাদের কাজ ফের শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবারের মধ্যে আপাতত তাপ্পি দেওয়ার কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।’’
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এইচআরবিসি তাদের অংশ মেরামত করেনি কেন?
এইচআরবিসির সিনিয়র প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার গৌতম সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ মারাত্মক। এর পরে যে জায়গাটি ভেঙেছে সেখানে জল জমে থাকে। ফলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। আমরা মেরামতির কাজ দ্রুত করছি। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই জায়গাটি ব্যারিকেড করে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy