Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাঙালির পাতে সস্তায় পমফ্রেটের স্বাদ

পমফ্রেট খাওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না বাঙালির। তাতে কী এসে যায়?

মেহবুব কাদের চৌধুরী
শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:০৮
Share: Save:

পমফ্রেট খাওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না বাঙালির। তাতে কী এসে যায়?

পমফ্রেটের বিকল্প মাছ এসে গিয়েছে এ রাজ্যে। সৌজন্যে রাজ্য মৎস্য দফতর। পমফ্রেটেরই আরেক প্রজাতির মাছ ‘সিলভার পমপ্যানো’ মাছ চাষ শুরু করেছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নয়া প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ চাষ করে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি নিগমের কর্তাদের।। এবার এই ধরনের মাছ চাষে উৎসাহ দিতে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের কাজে লাগাতে চায় রাজ্য।

ভারতে সিলভার পমপ্যানো মাছের কৃত্রিম প্রজননের কাজ প্রথম শুরু করে সেন্ট্রাল মেরিন ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমএফআরআই)।সিএমএফআরআই-এর তামিলনাডুর মান্দাপাম রিজিওন্যাল সেন্টারে সিলভার পমপ্যানোর কৃত্রিমভাবে প্রজননের কাজ চলছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে মান্দাপাম থেকে ১০,০০০ ‘সিলভার প্যামপিনো’র চারা এনে মাছ চাষের কাজ শুরু হয় পূর্ব মেদিনীপুরের আলমপুরে। সেপ্টেম্বর নাগাদ এক-একটির গড় ওজন ছিল ৩০০। মৎস্য দফতর ওই মাছ বাজারে বিক্রি করেছে কেজি প্রতি তিনশো টাকায়।

কেন সিলভার পমপ্যানোর প্রতি আগ্রহী রাজ্য?

পমফ্রেট একটু দামী হওয়ায় সর্বসাধারণের পক্ষে কেনা সমস্যার। এক্ষেত্রে পমফ্রেটের স্বাদেই এই ধরনের টাটকা মাছ রাজ্যের বাজারে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে চায় নিগম। এতদিন রাজ্যে গতানুগতিক মাছ চাষ (রুই, কাতলা, ভেটকি, বাগদা চিংড়ি) হত। স্টেট ফিসারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) বিজনকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘রাজ্যে নতুন প্রজাতির মাছ চাষে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরই অনুপ্রেরণায় আমরা গত এক বছরে ১১টি নতুন প্রজাতির মাছ চাষে হাত দিয়েছি। এদের মধ্যে সিলভার প্যামপিনো চাষ করে বেশ সাফল্য মিলেছে।’’

কী সেই সাফল্য?

মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণ, দশ হাজার সিলভার পমপ্যানোর চারা আলমপুরে নিগমের হ্যাচারি থেকে যখন তোলা হল তাদের ৮৫ শতাংশই বেঁচেছিল। প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। সরকারি তরফে লেকটাউন, কালিন্দী, সল্টলেক, রাজারহাট, ভবানীপুর, ভিআইপি কেষ্টপুরে সিলভার পমপ্যানো বিক্রি করে সাফল্য মিলেছে। পরীক্ষামূলকভাবে আলমপুরে চালু করা হলেও সামনের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় সিলভার পমপ্যানো চাষের কাজ শুরু করবে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাসের কথায়, ‘‘ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের ৪৩টি মৎস্যজীবী সমিতি (প্রতি সমিতিতে ২৫-৩০ জন চাষী) সিলভার পমপ্যানো চাষ করতে আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের হাতে চারা তুলে দেব।’’

মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সামুদ্রিক মাছ হওয়ায় সিলভার পমপ্যানো নোনা জলেই চাষযোগ্য। এক্ষেত্রে দুই চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরকে সিলভার পমপ্যানোর আদর্শ পরিবেশ বলে ধরা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE