ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে প্রেসিডেন্সি জেলে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আদালতের অনুমতি আগেই মিলেছিল। সম্মতি মিলেছিল তাঁরও। এ বার আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করার তোড়জোড় শুরু করল সিবিআই। শনিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখে তারা। সূত্রের খবর, আদালতের অনুমতিক্রমে রবিবার বা সোমবারের মধ্যেই আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হবে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই সেই পরীক্ষা হবে।
আদালতের নির্দেশে ধৃত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার প্রেসিডেন্সি জেলের ভিআইপি ওয়ার্ডের ‘পহেলা বাইশে’ রয়েছেন। জল্পনা ছিল, ধৃতকে বাইরে এনে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে না কি জেলের মধ্যেই ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে। তবে শনিবার সিবিআই আধিকারিকদের জেল পরিদর্শনের পর সেই জল্পনার অবসান ঘটেছে। সূত্রের খবর, শনিবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পলিগ্রাফ পরীক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিবিআই। কোন জায়গায় এই পরীক্ষা করা হবে, পরীক্ষার জন্য কী কী সরঞ্জামের প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার শিয়ালদহের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল আরজি কর-কাণ্ডের অভিযুক্তকে। এর পর তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আদালত। শুনানির সময়েই ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঘটনার পর হাসপাতাল এবং সেমিনার রুমে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন বয়ানের মাধ্যমে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন ধৃত। মনে করা হচ্ছে, তার জন্যই তাঁর পলিগ্রাফ করাতে চাইছে সিবিআই।
শুধু ধৃতের নয়, আরজি কর-কাণ্ডে আরও ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই তালিকায় রয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম। আদালত সন্দীপ-সহ মোট ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। শনিবারই পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। সেই জন্য দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দলও কলকাতায় এসেছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন সন্দীপ-সহ মোট সাত জন। তাঁরা গোয়েন্দাদের যা বলছেন, তা সত্য কি না, জানার জন্য পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছে সিবিআই। এই পরীক্ষার ফলাফলে যা মিলবে, তা কিন্তু আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হবে না। তদন্তের সুবিধার্থে এই পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এই ধরনের পরীক্ষার জন্য যাঁর পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তাঁর সম্মতিও প্রয়োজন।
পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে কেউ কেউ ‘লাই ডিটেক্টর’ পরীক্ষাও বলে থাকেন। অর্থাৎ, অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, এটি তা যাচাইয়ের পরীক্ষা। সাধারণত জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করেই এই পরীক্ষা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy