ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে শিয়ালদহ স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে দূষণের হদিস পেল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এ ব্যাপারে কলকাতায় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে রিপোর্টও জমা দিয়েছে তারা। পর্ষদ সূত্রে খবর, শিয়ালদহ স্টেশন ও কারশেড থেকে নোংরা জল পরিশোধন না করেই খালে ফেলা হচ্ছে। মাটিতে ছড়াচ্ছে গাড়ির পোড়া মোবিল। নারকেল়ডাঙা কারশেডের কাছে প্রচুর প্লাস্টিক বর্জ্যও নজরে এসেছে পরিদর্শকদের। এ নিয়ে রেলকে কয়েক দফা সুপারিশও করেছেন পর্ষদ কর্তারা।
হাওড়া স্টেশনের দূষণ নিয়ে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলাতেই শিয়ালদহ স্টেশন এলাকার দূষণের বিষয়টিও যুক্ত হয়। হাওড়ার মতো শিয়ালদহেও পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়। সেই মতো পর্ষদের দুই অফিসার বিমলেন্দু মাল এবং অরুণ দাস রেলকর্তাদের সঙ্গে নিয়েই এই পরিদর্শন করেন।
সুভাষবাবুর অভিযোগ, শিয়ালদহের জনআহার, বেস কিচেন এবং অন্যান্য জায়গা নোংরা জল শোধন না করে পুরসভার খালে ফেলা হচ্ছে। এটা অপরাধ। এর পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছনোর আগে প্যান্ট্রিকারের বর্জ্য লাইনের পাশে ফেলে দেওয়া হয়। সেগুলিও দূষণ ছড়ায়। কেন শিয়ালদহের মতো বড় স্টেশনে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পর্ষদ সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশন এলাকা এবং চলন্ত ট্রেনে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে তারাও। এর পাশাপাশি সৌরশক্তির ব্যবহার এবং বৃষ্টির জলের পুনর্ব্যবহার করতেও রেলকে বলা হয়েছে। নোংরা জল শোধন কেন্দ্র গড়তেও রেলকে সুপারিশ করেছেন পর্ষদকর্তারা।
সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন পূর্ব রেলের কর্তারাও। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্জ্য শোধন কেন্দ্র তৈরির কথা তাঁরা আগেই ভেবেছেন। বাকি সুপারিশগুলিও কার্যকর করা হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারির রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘স্টেশনে জল পরিশোধনের জন্য প্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্টেশনে প্লাস্টিক বন্ধের জন্য সকলকে সচেতন করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy