ধর্মতলায় গাড়ির জট। বুধবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
কাজের দিনে মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করে ফের রাজপথে রাজনৈতিক দলের মিছিল এবং নাগরিক ভোগান্তি। কাজের দিনে মিটিং-মিছিল নিয়ে মঙ্গলবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সে দিনই শাসক দলের মিছিলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র। একই ভাবে বুধবারও বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন ও সিপিআইএম (এল)-এর জোড়া মিছিলের জেরে নাজেহাল হল শহর।
সোম ও মঙ্গলবার বাম ও তৃণমূলের মিছিলের জেরে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ যানজটে আটকে পড়েন সাধারণ মানুষ। এ দিন দুপুরে ফের কলেজ স্কোয়ার থেকে বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) ও সিপিআই (এমএল)-এর মিছিলে বিকেল পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয় একই এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর দু’টো থেকে শুরু হওয়া এবিভিপি-র মিছিলটি বিকেল ৩-৪৫ মিনিট নাগাদ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে শেষ হয়। একই সময়ে সিপিআইএম (এল)-এর মিছিলটি ধর্মতলায় শেষ হয়। পুলিশের হিসেবে, দু’টি মিছিল মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার লোক ছিলেন। মিছিলের জেরে বিধান সরণি, লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোডে যান-চলাচল বিপর্যস্ত হয়। থমকে যায় গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড, আমর্হাস্ট স্ট্রিট-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, পুজোর বাজারের কারণে এমনিতেই রাস্তায় যানজট। তার সঙ্গেই মিছিলের জেরে হিমশিম অবস্থা হয়। এ দিনও ট্রামে-বাসে আটকে গরমে নাকাল হন সাধারণ মানুষ।
নিউ মার্কেটের পথে বাসে আটকে ছিলেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দা রাখী পাল। বললেন, ‘‘হাইকোর্ট যাই বলুক না কেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কিন্তু কোনও হেলদোল নেই। ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ মানুষেরই।’’ এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, মানুষের ভিড়, গাড়ির যানজটের সঙ্গে গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে মিটিং-মিছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy