জনজোয়ার: আজ, বুধবার ফের সার্বিক লকডাউন রাজ্যে। তার আগে দূরত্ব-বিধি শিকেয় তুলে রাস্তায় নামলেন সাধারণ মানুষ। বাগড়ি মার্কেটের সামনের রাস্তায় মানুষের ঢল। ছবি: সুমন বল্লভ
আগের লকডাউনের দিন ইএম বাইপাসে বিধি ভাঙা গাড়ি আটকাতে গিয়ে দু’টি পৃথক ঘটনায় জখম হয়েছিলেন দুই পুলিশকর্মী। আজ, বুধবারের লকডাউনে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের আরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিল লালবাজার। সেই সঙ্গে যে সব রাস্তায় গাড়ি খুব জোরে চলে, সেখানে রাস্তার মাঝখানে গার্ডরেল দিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, বাহিনীর প্রত্যেককে ওই বেপরোয়া গাড়ির বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, অন্য বারের মতোই কঠোর ভাবে নাকা তল্লাশি চালাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে লকডাউনের দু’দিন পুলিশি তৎপরতায় সন্তুষ্ট হয়েছিলেন শহরবাসী। ছোট-বড় সব রাস্তাতেই পুলিশ লকডাউন কার্যকর করতে সচেষ্ট ছিল।
লালবাজার জানিয়েছে, আজ, বুধবারও সেই সুনাম যাতে বজায় থাকে, তার জন্য প্রস্তুত পুলিশ। থানাগুলিকে নিজেদের এলাকায় কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে, যাতে বিধি ভেঙে কেউ দোকান খুলতে বা বাইরে বেরোতে চেষ্টা না করেন। ভোর থেকেই থানার টহলদার বাহিনীকে রাস্তায় নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব এলাকায় পাইকারি বাজার আছে, সেখানে স্থানীয় থানাকে বেশি করে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, শহরের সব বাজারেই পুলিশ মোতায়েন থাকছে আগের দু’বারের মতো। এর জন্য লালবাজারের তরফে বাহিনী পাঠানো হচ্ছে শহরের ৫৬টি পাইকারি ও খুচরো বাজারে।
পুলিশের একটি অংশের দাবি, আজ, বুধবার সকাল থেকেই লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা রাস্তায় নেমে লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। এ ছাড়া, অন্যান্য বারের মতো এ বারও ডেপুটি কমিশনারদের অফিসে অতিরিক্ত বাহিনী রাখা হচ্ছে, যে কোনও ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। ওই বাহিনীতে কমব্যাট ফোর্সও থাকবে।
আগের দু’বার শহরবাসীকে ‘ঘরবন্দি’ রাখতে সফল হয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম ভাঙার কিছু অভিযোগ উঠেছিল। বিকেলের পরে বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকানে বা রাস্তায় দেখা গিয়েছিল লোকজনের জমায়েত। এ বার যাতে তা না হয়, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে।
আরও পড়ুন: আলাদা বিধির আর্জি বিশেষ ভাবে সক্ষমদের পরিবারের
বিভিন্ন থানা সূত্রের খবর, বিকেলের পরে যে সব এলাকায় আড্ডা বা জমায়েত হয়, সেখানে আজ ঘন ঘন টহল দেবেন পুলিশকর্মীরা। উত্তর কলকাতার একটি থানার ওসি-র কথায়, ‘‘পুলিশ যদি সকাল থেকেই খুব কঠোর হতে পারে, তা হলে ভয়েই আর কেউ বাইরে আড্ডা মারবে না। ওটাই একমাত্র ওষুধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy