—প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ভেবেছিল, নিছকই হাতসাফাই। কিন্তু অভিযুক্ত দুই মহিলাকে গ্রেফতারের পরে জেরা করে তদন্তকারীদের ধারণা, ধৃতেরা কোনও আন্তঃরাজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত। যাদের কাজ মহিলাদের দিয়ে সোনার দোকানে চুরি করানো।
গত ডিসেম্বরে বিধাননগর উত্তর এবং দক্ষিণ থানা এলাকায় দু’টি সোনার দোকানে গয়না চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে জেরা করেই আন্তঃরাজ্য চক্রের কথা ভাবতে শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, সোনা চুরির কাজে নিয়োগ করা হত মহিলাদেরই। চুরির জন্য তাদের ভাল কমিশনও দেওয়া হত।
কী ভাবে চুরি করতেন ওই মহিলারা? পুলিশ জানায়, একসঙ্গে দু’জন করে মহিলা একটি সোনার দোকানে ঢুকে বিভিন্ন গয়না দেখতেন। একটি-দু’টি গয়না পছন্দ করে কিছু অগ্রিমও দোকানে তাঁরা দিতেন। এক জন কথা বলতে বলতে ব্যস্ত রাখতেন দোকানের কর্মচারীকে। অন্য জন সেই ফাঁকে হাতসাফাই করে গয়না হাতিয়ে নিতেন। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, ধৃতেরা পেশাদার চোর।
জেরায় অবশ্য ধৃতেরা জানিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। কোনও ভাবে তাঁরাই সংসার টানেন। আবার পুলিশের কাছে ওই মহিলারাই জানিয়েছেন যে, তাঁরা ভাল কমিশন পেতেন। ফলে তাঁরা আদৌ কতটা সত্যি বলছেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তদন্তকারীদের। ওই চুরির ঘটনায় আরও কয়েক জনের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ধৃত দুই মহিলা দেগঙ্গার বাসিন্দা। ভিন্ রাজ্যে বসে দেগঙ্গার মহিলাকে কাজে লাগানো দেখে
চক্রের শিকড় কত দূর, তার আঁচ পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy