ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল করে দিল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
ছ’মাসের বেশি সময় ধরে আল্ট্রা সোনোগ্রাফির একের পর এক ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল করে দিল পুলিশ। জেরার জন্য আটক করা হল ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেডিয়োলজিস্টকেও।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। মুকুন্দপুরের বাসিন্দা সুকান্ত বিশ্বাস স্থানীয় গ্রিনপার্ক নার্সিংহোমে এসে অভিযোগ করেন, তাঁর শিশু বদল করে পাচার করে দিয়েছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। পরিবারের লোকজন নিয়ে নার্সিংহোমে ভিড় করেন সুকান্তবাবু। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। এর পরে পূর্ব যাদবপুর থানা থেকে পুলিশ আসে পরিস্থিতি সামাল দিতে।
পুলিশের কাছে সুকান্তবাবু অভিযোগ করেন, গত নভেম্বর মাসে গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই তাঁর স্ত্রী তাপসী ওই নার্সিংহোমের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জিনিয়া পালের চিকিৎসাধীন। গত ছ’মাস ধরে গ্রিনপার্ক নার্সিংহোমের নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই ৬ বার আল্ট্রা সোনোগ্রাফি (ইউএসজি) করা হয়েছে তাপসীর। শিশুর জন্মের ১০ দিন আগেও ইউএসজি করা হয়। প্রতি বারেই ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং সুস্থ আছে।
দেখুন ভিডিয়ো
কিন্তু বুধবার প্রসবের পর দেখা যায়, শিশুর গঠন অসম্পূর্ণ। কার্যত সে শারীরিক ত্রুটিযুক্ত। আর সেখান থেকেই তাপসীর পরিবারের সন্দেহ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাপসীর শিশু পাচার করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন
শক্তি বাড়াবে বর্ষা, আশার কথা শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস
এই অভিযোগ ঘিরে পরিস্থিতি যখন ঘোরালো হতে শুরু করে তখন, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ শিশু পাচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়। তদন্তে উঠে আসে, হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতিতে গন্ডগোল ছিল, নয়তো রেডিয়োলজিস্ট যে রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন, সেটা ভুল ছিল।
আরও পড়ুন
সেনার জমিতে নির্মাণে লাগবে না পুর অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট
তাপসীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে, পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ শেষ পর্যন্ত নার্সিংহোমের ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে নার্সিংহোমের মালিক সঞ্জিত সাহা এবং রেডিয়োলজিস্ট বরুণ চৌধুরীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy