প্রতীকী ছবি।
ভরসন্ধ্যায় এক নাবালিকাকে রাস্তায় এলোমেলো ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মীর। হাইড রোড ও সিজিআর রোডের মোড়ে বাচ্চাটিকে ও ভাবে দেখার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম ট্র্যাফিক গার্ডের কর্তাদের জানান তিনি। খবর দেন পশ্চিম বন্দর থানাতেও। যানজট সামলানোর ফাঁকে পুলিশের এই সক্রিয়তাই মঙ্গলবার ঘরে ফিরিয়ে দিল ওই নাবালিকাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, একবালপুর এলাকার বাসিন্দা, ১১ বছরের তিষা কুমারী মানসিক ভাবে অসুস্থ। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছিল। খবর পেয়ে পশ্চিম বন্দর থানার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যান। তার ছবি তুলে পশ্চিমবন্দর থানার ওসি পার্থপ্রতিম দাস এবং ট্র্যাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুলিশ অফিসারদের হোয়্যাটসঅ্যাপে দিয়ে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই জানা যায়, একবালপুর থানায় সুরেন্দ্র সাউ নামে এক ব্যক্তি মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানাতে গিয়েছেন। সুরেন্দ্রকে ছবি দেখিয়ে পুলিশ জানতে পারে, হাইড রোড থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েটি তাঁরই। এর পরেই সুরেন্দ্রকে পশ্চিম বন্দর থানায় নিয়ে আসা হয়। মেয়ে যে তাঁরই, সে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রমাণপত্র দাখিল করার পরে তিষাকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হোয়্যাটসঅ্যাপে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে নিখোঁজের দ্রুত সন্ধান পাওয়া অবশ্য এই প্রথম নয়। সম্প্রতি রেসকোর্সের কাছ থেকে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছিল হেস্টিংস থানার পুলিশ। অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। তাঁর ছবিও হোয়্যাটসঅ্যাপে দেওয়ার ফলে দ্রুত বাড়ির লোকেদের সন্ধান মিলেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy