—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা বইমেলায় দর্শকদের সাহায্যের জন্য বাইরে থেকে আসা পুলিশকে চেনানো হবে সল্টলেকের রাস্তাঘাট।
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। বইমেলা উপলক্ষে বাইরে থেকে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ বিধাননগরে আসবে। কিন্তু গত বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, বাইরে থেকে আসা সেই পুলিশকর্মীরা অনেক ক্ষেত্রেই বইমেলায় যাতায়াতের জন্য দর্শকদের রাস্তার খোঁজ দিতে পারেননি। ফলে সেন্ট্রাল পার্কে প্রথম বছর বইমেলার শুরুর দিকে সমস্যায় পড়েছিলেন দর্শকেরা। সে কথা মাথায় রেখে এ বার বিধাননগরের পুলিশ বাইরের পুলিশকর্মীদের সল্টলেকের রাস্তা চেনাবেন।
কলকাতায় মিলন মেলার সংস্কারের কাজ চলায় গত বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত বছরের মতোই এ বারেও ভিড় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে দর্শকদের যাতে সল্টলেকের রাস্তা চেনাতে পুলিশকে সমস্যায় না পড়তে হয়, তাই আগে থাকতে অন্য কমিশনারেটের থেকে আসা কর্মীদের রাস্তা চেনানোর কাজ শুরু করার কথা ভাবছে বিধাননগর কমিশনারেট। একইসঙ্গে ইএম বাইপাস, উল্টোডাঙা, নিউ টাউন থেকে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড় সংলগ্ন মেলা প্রাঙ্গণে যাওয়ার রাস্তায় বিপুল পরিমাণে পথ নির্দেশিকা রাখারও চিন্তাভাবনা করছে কমিশনারেট।
সূত্রের খবর, দর্শকেরা যাতে মেলায় যাতায়াতের পথে রাস্তা চিনতে সমস্যায় না পড়েন, সে দিকে নজর রাখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা বইমেলা নিয়ে বৈঠক করেছেন। ত্রিদিববাবু জানান, গত বছর মেলার প্রথম দিকে কয়েকটি প্রবেশপথ বন্ধ ছিল। তাতে সমস্যা হয়। তার পরে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়।
সম্প্রতি বিধাননগরের পুর প্রশাসন ও পুলিশ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে একটি বৈঠক করেছে। সূত্রের খবর, সেখানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গেই পথ নির্দেশিকা এবং পুলিশকর্মীদের রাস্তা সম্পর্কে পরিচিতি করার প্রশিক্ষণের বিষয়টিও উঠে আসে।
২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাকে মডেল করে এ বারেও প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসন। বইমেলার পাশে এবং উল্টোদিকে পার্কিং লটের পাশাপাশি মেলার কাছাকাছি কয়েকটি ফাঁকা জমিতে পার্কিং লট তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশেরও নজরদারি থাকবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় ট্র্যাফিক কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy