উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
রবীন্দ্রনগরে ফের অস্ত্র কারখানার হদিস পেল পুলিশ। সম্প্রতি রবীন্দ্রনগরের কানখুলি এলাকায় এক অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলেছিল। সেই ঘটনায় মুঙ্গের থেকে তিন কারবারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ওই কারখানা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ফের আরেকটি বন্ধ কারখানার খোঁজ মিলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী জানান, উদ্ধার হয়েছে শতাধিক অর্ধেক তৈরি নাইন এমএম ও সেভেন এমএম পিস্তল। মিলেছে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগরের পাঁচুমোল্লা এলাকায় যে বাড়িতে কারখানাটি চলত তার মালিক মহম্মদ সমশেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাসিক ৬০ হাজার টাকায় ওই কারখানার ঘরটি ভাড়া দিয়েছিল সামশের বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানায়, বছর খানেক আগে মহম্মদ জলিল নামে মুঙ্গেরের এক অস্ত্র ব্যবসায়ী বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে সমশের।
এক তদন্তকারীর কথায়, কানখুলির ঘটনায় মহম্মদ আফতাব নামে মুঙ্গেরের এক অস্ত্র ব্যবসায়ী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই ঘটনায় স্থানীয় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। আফতাবকে জেরা করে জানা যায়, রবীন্দ্রনগরের পাঁচুমোল্লা এলাকায় মুঙ্গেরের আরও কিছু ব্যবসায়ী অস্ত্রের কারখানা খুলেছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানখুলির ওই কারখানার খোঁজ মেলার পরেই পাঁচুমোল্লা এলাকার কারখানাটির মালিক মহম্মদ জলিল মুঙ্গের চলে যায়। অস্ত্র তৈরির কাজ বন্ধ থাকে। শনিবার রাতে কারখানাটির খোঁজে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু জলিলের কারখানার হদিস পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে ফের তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখন সমশেরের কয়েক জন প্রতিবেশী ওই কারখানার হদিস দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলিল ওই কারখানার অস্ত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। মহেশতলা এলাকায় বাড়ির খোঁজ করছিল সে। সপ্তাহখানেক আগে কলকাতায় এসে স্থানীয় কিছু অস্ত্র কারবারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জলিল। তদন্তকারীদের দাবি, কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের অর্ধেক তৈরি অস্ত্র অন্যত্র পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল জলিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy