Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Laketown

ফেসবুকে প্রেম, পালানোর পথে গয়না নিয়ে চম্পট কাণ্ডে গ্রেফতার ২, উদ্ধার সোনাদানাও

পুলিশ সূত্রে খবর, গত আগস্ট মাসে ফেসবুকে লেকটাউনের বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে আলাপ হয় সন্দেশখালির বাসিন্দা সৌমিত্র মণ্ডলের।

অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ

অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:১৩
Share: Save:

পুলিশ পরিচয় দিয়ে লেকটাউনের মহিলার সঙ্গে কয়েক মাসের প্রেম। তার পর যে দিন প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক, সেই দিন মাঝপথে ওই মহিলাকে রেখে তাঁর গয়না নিয়ে চম্পট দেয় সে। সৌমিত্র মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে দুলাল হালদার নামে তার এক সঙ্গীর নাম। তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রও।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত আগস্ট মাসে ফেসবুকে লেকটাউনের বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে আলাপ হয় সন্দেশখালির বাসিন্দা সৌমিত্র মণ্ডলের। নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দেয় সৌমিত্র। অন্য দিকে, ওই মহিলার একটি মেয়ে রয়েছে। বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু’জনের। এর পর গত অক্টোবর মাসে ওই মহিলাকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সৌমিত্র। তাতে রাজিও হয়ে যান মহিলা।

এর পর শুরু হয় পালানোর ছক কষা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে সোনাদানা ও টাকাপয়সা নিয়ে আসতে বলে সৌমিত্র। সেই মতো সপ্তাহ দুয়েক আগে এক দিন সকালে মহিলার স্বামী যখন মেয়েকে স্কুলে দিতে যান, সেই ফাঁকে সৌমিত্রর বাইকে চড়ে পালিয়ে যান তিনি। বাইপাসের আনন্দপুরের কাছে এসে সৌমিত্রর ফোনে একটি কল আসে। তখন সৌমিত্র মহিলাকে নানা অজুহাতে আনন্দপুরে দাঁড় করিয়ে রেখে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসার কথা বলে। মহিলা যে হেতু পালিয়ে এসেছিলেন বাড়ি থেকে, তাই সৌমিত্রর কথামতো মোবাইলও বন্ধ করে তার কাছে দেন।

আনন্দপুরে মহিলাকে রেখে সৌমিত্র যে গিয়েছিল, তার পর আর ফেরেনি। তার পর দীর্ঘ ক্ষণ ওই এলাকায় ইতস্তত ঘুরতে দেখে মহিলাকে উদ্ধার করেন। পুলিশের কাছে সব কথা খুলে বলেন তিনি। এ নিয়ে গত ১৬ নভেম্বর লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তার পরেই পুলিশ সৌমিত্রর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।

আরও পড়ুন: রাজ্যপাল-উদ্ধব বৈঠক, মহারাষ্ট্রে কারা মন্ত্রী হবেন? শরদের সঙ্গে আলোচনায় কংগ্রেস

আরও পডু়ন: মহারাষ্ট্রে জটিলতার মধ্যেই অমিতের মুখে এনআরসি, মমতাকে কটাক্ষ

শেষ পর্যন্ত পুলিশ সাফল্য পায় ২৫ নভেম্বর। ওই দিন সৌমিত্রকে গ্রেফতারের পর বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। আদালত সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেই পর্দাফাঁস হয় গোটা ঘটনার। সৌমিত্রর সঙ্গী দুলালকেও ধরে পুলিশ। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া সোনার গয়নাগাঁটিও। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এটাই প্রথম ঘটনা ঘটিয়েছে সৌমিত্র-দুলাল, নাকি আগেও তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগের নজির রয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Laketown Facebook Cheat Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE