ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নানা দেশের প্রতিনিধিরা। ডান দিকে প্রথম সারিতে জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আসন পেয়েছিলেন একেবারে সামনের সারিতে! ভারতকে প্রথম সারিতে বসিয়ে কিসের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছে আমেরিকা? তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।
যদিও বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্মিত হেসে জয়শঙ্কর শুধু একটিই বাক্য খরচ করেছেন। বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ দূতের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা হবে, এটাই তো স্বাভাবিক!’’ বিদেশমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতকে রাখতে যে উদ্গ্রীব ছিল ট্রাম্প প্রশাসন, তা এ থেকেই স্পষ্ট। এর পরেই জয়শঙ্করের আশ্বাস, স্পষ্টতই ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে আমেরিকা।
মোদী এবং ট্রাম্প— দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বন্ধুত্ব এমনিতেই বিশ্ব-রাজনীতিতে অন্যতম চর্চার বিষয়। অন্য দিকে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় আমেরিকার। অতীতে বার বারই তা স্পষ্ট হয়েছে। আর চিনকে চাপে রাখতে দ্বিতীয় ট্রাম্প সরকারের ‘ট্রাম্পকার্ড’ হতে পারেন ‘বন্ধু’ মোদী। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অতিথি রাষ্ট্রপ্রতিনিধিদের আসনগুলি ভিন্ন অর্থ বহন করে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সংবাদের কারবারিরা।
ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সফরকালে চতুর্দেশীয় অক্ষ (কোয়াড)-এর বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের দুই নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। পরে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে সফর এবং বৈঠকের মূল নির্যাস তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ট্রাম্পের প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy