একই সঙ্গে দুই দেশের পাসপোর্ট রাখার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম পীযূষ পটেল। অভিযোগ, আদতে নদীয়ার বাসিন্দা পীযূষ বর্তমানে ইউক্রেনের নাগরিক। কিন্তু ইউক্রেনের পাসপোর্টের পাশাপাশি তাঁর কাছে ছিল ভারতীয় পাসপোর্ট। নিয়ম অনুযায়ী একই সঙ্গে দুই দেশের পাসপোর্ট রাখা যায় না। ধৃতের দু’টি পাসপোর্টই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১১ বছর আগে ইউক্রেন চলে যান পীযূষ। তখন তাঁর সঙ্গে ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল। কয়েক বছর সেখানে থাকার পরে ২০০৫-এ তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউক্রেনের নাগরিকত্ব নেন। সেই সূত্রে সে দেশের পাসপোর্ট পান তিনি। নিয়ম মতো সে দেশেরই ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টটি জমা দেওয়ার কথা ছিল পীযূষের। কিন্তু তিনি তা করেননি। পুলিশ জানায়, ২০০৭ থেকে যখনই তিনি ভারতে এসেছেন, ব্যবহার করেছেন ইউক্রেনের পাসপোর্ট।
মে মাসে অভিবাসন দফতরের নজরে আসে, পীযূষের কাছে দুই দেশের পাসপোর্ট রয়েছে। কিন্তু তখন তিনি ইউক্রেনে। কলকাতা পুলিশের অধীনে সিকিওরিটি কন্ট্রোল অফিসের (এসসিও) তরফে ভবানীপুর থানায় পীযূষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জারি হয় লুকআউট কর্নার নোটিশও (এলওসি)।
গত ২৮ জুন মস্কো থেকে দিল্লি নামার পরে এলওসি নোটিশের ভিত্তিতে তাঁর ইউক্রেনের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে দিল্লি বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর। তাঁকে কলকাতায় এসসিও-তে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পুলিশের দাবি, পীযূষ সেখানে যোগাযোগ করেননি।
পুলিশ জানায়, পীযূষের স্ত্রী বর্তমানে ইউক্রেনের নাগরিক। অনাবাসী ভারতীয়রা নিয়মিত যাতে ভারতে যাতায়াত করতে পারেন, তাই এ দেশের বিদেশ মন্ত্রক ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (ওসিআই) কার্ড দেয়। বিদেশি পাসপোর্টের সঙ্গে তা থাকলে আলাদা ভিসা ছাড়াই ভারতে যাতায়াত করা যায়। স্ত্রীর জন্য ওসিআই-এর আবেদন করতে সোমবার এসসিও-তে যান পীযূষ। তখনই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পীযূষের
ভারতীয় পাসপোর্টটিও।
লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃতের দাবি, তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট জমা করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে সময়ের অভাবে তা হয়ে ওঠেনি। পুলিশ তাঁর বক্তব্য
খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy