প্রতীকী ছবি।
নিউ টাউনকে ‘গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বার নতুন তৈরি হওয়া বাড়িগুলির ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক বৃক্ষরোপণের চিন্তাভাবনা করছে ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)। গাছ লাগানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে নির্মাণের নকশাতেও (বিল্ডিং প্ল্যান)।
নিউ টাউনে গত কয়েক বছর ধরেই সবুজায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। আমপানে কয়েকশো গাছ নষ্ট হয়েছিল সেখানে। যদিও এর মধ্যে কিছু গাছকে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ওই ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে সবুজায়নে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরাও বাড়িতে গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু তা কোনও পরিকল্পনা অনুযায়ী লাগানো হয়নি। যার জেরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেমন, দোতলা তোলার সময়ে অনেক বাড়িতেই গাছের জন্য সমস্যা হয়েছে। সে সব ক্ষেত্রে কিছু গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। কখনও আবার বাড়ির কোনও কাজ করানোর সময়ে বাধা পড়ায় কাটতে হয়েছে গাছ। এ ছাড়া, গাছ নিয়ে পড়শিদের মধ্যে বিবাদ তো লেগেই থাকে। আমপানের পরে দেখা যায়, এক বাড়ির গাছ অন্য বাড়িতে পড়ে সেই বাড়িকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
সম্প্রতি এনকেডিএ-র বৈঠকে নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণের বিষয়টি নকশার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এনকেডিএ সূত্রের খবর, প্রায় সাত হাজার একরের নিউ টাউনে ৩৮ হাজার গাছ (৬ ফুটের বেশি উচ্চতার) রয়েছে। নির্দিষ্ট কর্মসূচির মাধ্যমে সবুজ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। গাছপালার নিয়মিত পরিচর্যারও ব্যবস্থা হয়েছে। এলাকায় এখনও অনেক নির্মাণকাজ চলছে। সবুজ বাঁচাতে এবং বাড়াতে তাই নতুন বাড়ি ও আবাসনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক বৃক্ষরোপণের ভাবনা রয়েছে। এনকেডিএ সূত্রের খবর, নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি ৮০ বর্গমিটার এলাকায় একটি করে গাছ লাগানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক করতে গেলে বিল্ডিং রুলস-এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
বাসিন্দাদের একাংশ জানান, বাড়িতে সকলেই গাছ লাগান। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে সুবিধাই হয়। তবে কী ধরনের গাছ লাগানো দরকার, তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে এক কর্তা বলেন, ‘‘যে কোনও গাছই লাগানো যেতে পারে। তবে নারকেল, সুপুরির মতো গাছ হলে ভাল।’’
এনকেডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, বিষয়টি পরিকল্পনা স্তরে আছে। সবুজ বাঁচাতে এবং বাড়াতে এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy