পুকুর নয়, রাস্তার জমা জলেই লাফ-ঝাঁপ এক শিশুর। শনিবার, ভিআইপি রোডের হলদিরামের সামনে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
দফায় দফায় বৃষ্টিতে পথেঘাটে জল জমায় শনিবার সকাল থেকেই ভোগান্তির শিকার হলেন পথে বেরোনো লোকজন। সকালের কয়েক ঘণ্টা বহু রুটেই বাস পেতে গিয়ে নাকাল হতে দেখা গেল পথে বেরোনো মানুষকে। জরুরি পরিস্থিতিতে চোখ রাঙিয়েছে অ্যাপ-ক্যাবের ভাড়াও। বিমানবন্দরের বাইরে জল জমে যাওয়ায় সকালে যাত্রীদের বিমান ধরতে বা বিমান থেকে নেমে শহরে ঢুকতে সমস্যা হয়। বিমানবন্দরের ভিতরে পার্কিং বে ও অ্যাপ্রনে জল জমে যাত্রীদের কিঞ্চিত অসুবিধার খবর শোনা যায়। তবে রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়েতে সমস্যা না থাকায় বিমান ওঠানামা করেছে নির্বিঘ্নে।
এ দিন সকালে সল্টলেকের এফডি ব্লক, করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড, সেক্টর ফাইভ, কলেজ মোড়, ভিআইপি রোড সংলগ্ন হলদিরাম, কৈখালির একাংশ, চিনার পার্ক-সহ বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুজল জমে থাকে। ফলে সকালে ব্যাটারিচালিত সরকারি এসি বাস রাস্তায়
নামানো যায়নি। এই কারণে সেক্টর ফাইভ, নিউ টাউন, ইউনিটেক, সাপুরজি এলাকার যাত্রীদের সমস্যা হয়। ডানকুনি থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যে সব বাস সল্টলেক এবং নিউ টাউনের বিভিন্ন রুটে চলে, সকালে সেগুলিও বেশ কম ছিল। দক্ষিণে পি টি
এস মোড়, এ জে সি বসু রোড, শরৎ বসু রোড, টালিগঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার রোড সংলগ্ন বেহালার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় সকালে ওই সব রাস্তাতেও বাস কম ছিল।
দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে হাওড়া, শিয়ালদহ এবং কলকাতা স্টেশনে যে সব যাত্রীরা সকালে পৌঁছন, তাঁদের বিপুল টাকা ট্যাক্সির ভাড়া গুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এ-ও অভিযোগ, ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়া হেঁকেছেন ট্যাক্সিচালকেরা। অ্যাপ-ক্যাবের ভাড়াও সকাল ১০টা পর্যন্ত বেশ চড়া ছিল। পরে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় ভাড়া কমে যায়।
রাতভরের বৃষ্টিতে সকালে হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত না হলেও সর্বত্রই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫-২০ মিনিট দেরিতে চলেছে। ভোরে টানা বৃষ্টির কারণে কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনাল সংলগ্ন একাধিক বে-তে জল জমে যায়। যে কারণে আটটি পার্কিং বে সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়। ওই অংশে জল জমে যাওয়ায় বেশ
কিছু উড়ানের ক্ষেত্রে লাগোয়া এলাকার এরোব্রিজ ব্যবহারে সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে তো যাত্রীদের দূরবর্তী পার্কিং বে-তে নামিয়ে বাসে করে সেখান থেকে টার্মিনালে আনা হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জমা জল সরানোর জন্য অতিরিক্ত পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, ১ নম্বর গেট সংলগ্ন হলদিরাম, কৈখালি এলাকা আগেই জলমগ্ন থাকায় তা সরাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। যদিও রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ে এ দিন পরিষ্কার থাকায় বিমান ওঠানামায় সমস্যা হয়নি। উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো, সফরে বিলম্ব হতে পারে বলে যাত্রীদের আগাম জানিয়ে দিয়েছিল। তবে সকালের পরে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় উড়ান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy